চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
চট্টগ্রামের লালখানবাজার জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসায় সোমবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ছাত্রের হাতের কবজি উড়ে গেছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আহত দুজনকে আটক করেছে। মাদ্রাসার ওই কক্ষটি থেকে তিনটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এর বাইরেও কক্ষটি থেকে বেশকিছু বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এগুলো নিস্ক্রিয় করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে প্রাথমিকভাবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে আইপিএস বা ইউপিএস বিস্ফোরণের দাবি করেছে। তবে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো হাবিবুর রহমান, আবদুল করিম, আবদুল মান্নান, আমান উল্লাহ ও জব্বার।আহত ছাত্রদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত শেষে পুলিশ কমিশনার জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যের কারণেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।পুলিশ কমিশনার আরও জানান, আগামী ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে সফর করবেন।এর আগে মাদ্রাসায় এ ধরণের বিস্ফোরক পাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসার দারুল এবতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।এতে এক ছাত্রের হাতের পাঁচ আঙুল উড়ে গেছে ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ছাড়া ওই কক্ষের জানালার গ্রিল ও সিলিংফ্যান উড়ে গেছে।
এদিকে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী দাবি করেন, কম্পিউটারের ইউপিএস বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন লেগে যায়।এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
পাঁচলাইশ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবদুর রউফ ও উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) হারুনুর রশিদ হাজারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
