বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ও কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণার পরই কার্যালয় ঘিরে পুলিশ সন্দেহভাজনদের তল্লাশি শুরু করেছে। কার্যালয়ের আশেপাশে অনেক সাদা পোশাকের পুলিশও ঘোরাফেরা করছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, কার্যালয় থেকে কাউকে বের হতে বা ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ । তারা গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শেষে জোটের নেতাকর্মী ও সংবাদ কর্মীরা গুলশান কার্যলয় ত্যাগ করেন। একটু পরে মাগরিবের আজানের পর পরই কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেয় অতিরিক্ত পুলিশ। এরপর তারা কার্যালয়ে ঠিক বিপরীতে এবং আশাপাশে অবস্থান নেয়। এবং সন্দেহজনকদের তল্লাশি চালায়।
চেয়ারপরসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, তিনি বাইরে বের হলে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার সঙ্গে দু’জন সাংবাদিকের পরিচয় জানতে চায়। পুলিশ জানতে চায়, অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে কি না এবং কাজ ছাড়া কার্যালয় থেকে বের না হতে নির্দেশ দেয়।
চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানান, অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারে তিনি গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞেস করেন। তিনি তখন বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে’।
এ ব্যাপারে গুলশান থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সোহেল জানান, হরতাল ঘোষণা দেয়ার পর ওপরের নির্দেশে শক্ত অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নেতাকর্মী কাউকে পেলেই গ্রেফতার করা হবে বলে দাবি করেছে অপর একটি সূত্র।