বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউকানাডা পুলিশের মামলার কোথাও নাম না থাকায় সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন...

কানাডা পুলিশের মামলার কোথাও নাম না থাকায় সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন খুশি

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠার পর বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। গণমাধ্যমের সমালোচনার মুখে মন্ত্রিত্বও ছেড়েছিলেন তিনি। তবে বরাবরই দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। অবশেষে তাঁর দাবিই যেন সত্যি হল। কানাডিয়ান পুলিশের করা মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় রাখা হয়নি সৈয়দ আবুল হোসেনকে। তবে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসানকে। বুধবার কানাডার সংবাদপত্রগুলোতে এ সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। কানাডা পুলিশের মামলার কোথাও নাম না থাকায় সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন খুশি হয়েছেন। এনিয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিতও বলে জানা গেছে।

 সূত্র জানায়, সৈয়দ আবুল হোসেন ঘনিষ্ঠদের কাছে বলেছেন, পদ্মাসেতুর দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যে সংশ্লিষ্টতা নেই সেটি এখন প্রমাণিত। কিন্তু এসব অভিযোগের কারণে তাঁর ভাবমূর্তি যতটুকু ক্ষুণ্ন হয়েছে তা তো ফিরিয়ে আনা সম্ভব না। তবে এঘটনায় সরকার ও দলের তার সমালোচকদের মুখে কুলপ আঁটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 সরকারের একটি সূত্র জানায়, আবুল হোসেন ষড়যন্ত্রের শিকার। তাছাড়া তাকে বিতর্কিত করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে একটি মহল অপপ্রচার করেছিল। যা পরবর্তীতে দুদকের তদন্তের প্রমাণিত হয়েছে।

পদ্মাসেতুর ঠিকাদারি কাজ পেতে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি-লাভালিনের সাবেক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করেছে দেশটির পুলিশ (রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ— আরসিএমপি)।অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, কানাডার নাগরিক জুলফিকার আলী ভূঁইয়া ও বাংলাদেশের আবুল হাসান চৌধুরী। এ ঘটনায় প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি নাগরিককে অভিযুক্ত করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন  বলেন, ‘কানাডায় মামলার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি যে শুরু থেকেই দুর্নীতির সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়ে আসছিলাম সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।’

এদিকে দুদকের দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সৈয়দ আবুল হোসেন এবং আবুল হাসান চৌধুরী ২০১১ সালের ২৯ মে এসএনসি লাভালিয়নের তিন কর্মকর্তা কেভিন ওয়ালিস, রমেশ সাহা, মো. ঈসমাইল এবং ইপিএস’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফার সাথে ঢাকায় বৈঠক করেন। কিন্তু দুদকের করা মামলায় সৈয়দ আবুল হোসেন ও আবুল হাসানকে আসামি করা হয়নি। তাদেরকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় রাখা হয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ