শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনজামায়াতের গোপন ঘাঁটি চান্দগাঁওয়ের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

জামায়াতের গোপন ঘাঁটি চান্দগাঁওয়ের ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানা এলাকায় অবস্থান চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (সিআইএমসি) এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের (সিআইডিসি)। প্রতিষ্ঠান দুইটির বছরে আয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা। অভিযোগ আছে, এই টাকার বড় একটি অংশ যায় যুদ্ধাপরাধে জড়িত সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের ফান্ডে। জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর আমীর থেকে শুরু করে শিবিরের কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর হর্তাকর্তা। শিবিরের হাতে সংঘটিত বড় বড় নাশকতার মামলার আসামীদের এই প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে চাকরি। তাদের কেউ বনে গেছেন এই প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টির সেক্রেটারি, কেউ ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। জামায়াতের দলীয় আনুগত্য করলেই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পদোন্নতি মিলে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ আছে, এই প্রতিষ্ঠানের নামে কেনা দামি গাড়িতে চড়ে সংগঠন পরিচালনার কাজও করছে নগর জামায়াতের সিনিয়র নেতারা।

অভিযোগ উঠেছে, জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান দুটি। এই প্রতিষ্ঠান দু’টির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ জামায়াতের নেতাদের হাতে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে চট্টগ্রামজুড়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে নাশকতা মামলার প্রধান আসামীদের বড় অংকের বেতনে চাকরি দিয়ে পুষছে এই প্রতিষ্ঠান। কোটি কোটি টাকা এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন কৌশলে যাচ্ছে জামায়াত ইসলামীর ফান্ডে। নগরীর ব্যস্ত এলাকা থেকে একটু আড়ালে চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার পেছনে এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান হওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জামায়াত ও শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের উপস্থিতে সভাও হয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠানে।

জানা গেছে, জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর আমীর, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, মহানগর সভাপতি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতাদের ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা বেতনে চাকরি চলছে এখানে। চাকরি না করেও জামায়াতের নগর আমীর মোহাম্মদ শাহাজাহান এই প্রতিষ্ঠান থেকে মাসোহারা পান ৫০ হাজার টাকা।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এখানে শিবিরের নেতাদের বড় পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। সিলেট মেডিকেল কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী শিবির ক্যাডার ও জামায়াতপন্থি চিকিৎসক সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজ এই প্রতিষ্ঠান দুটির হর্তাকর্তা। শুধু তাই নয়, বছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা আয় থাকা এই প্রতিষ্ঠানটির ফাইন্যান্স কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহাজাহান।

প্রত্যক্ষ কোনো চাকরি না করেও এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি তুলেন মাসে ৫০ হাজার টাকা। নেন গাড়ির সুবিধাও। তাকে এই প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবেও রাখা হয়েছে। গত মার্চ মাসের ফাইন্যান্স কমিটির সভার নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির কিছু নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন, সোসাইটি এন্ড হেলথ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে৷ এই ট্রাস্টের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজ। তিনি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবেও কর্মরত।

প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম ২০০৭ সালে যখন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমীর থাকাকালীন ডা. সবুজ সিআইডিসিতে নিয়োগ দেন। ইউএসটির রেজিস্ট্রার পদে চাকরি করা ডা. সবুজ প্রথমে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান একাডেমিক ডিরেক্টর পদে। মাওলানা শামসুল ইসলাম এরপর তাকে বসান ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল পদে। ক’দিনের মধ্যেই তিনি বনে যান প্রিন্সিপাল। এখন পর্যন্ত মাওলানা শামসুল ইসলামের ‘সেনাপতি’ হিসেবেই ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজ এই প্রতিষ্ঠান দুটিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন জামায়াতের রামরাজত্ব। কেবল মাওলানা শামসুল ইসলামপন্থি শিবির কিংবা জামায়াত নেতা হলেই ডা. সবুজের আস্থাভাজন হওয়া যায় এই প্রতিষ্ঠানে। ডা. সবুজসহ তার অনুসারী দুই শিবির নেতার সিদ্ধান্তই এই প্রতিষ্ঠানে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

এই দুই শিবির নেতার মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগর শিবিরের সভাপতি ও পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ইসমাইল। তার বেতনও প্রায় ৫৫ হাজার টাকা। অতীতে কোনো চাকরির অভিজ্ঞতা না থাকলেও শামসুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে তাকে দেওয়া হয়েছে সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের মত পদ। এই পদে আরও অনেকে থাকলেও ইসমাইলের নিয়ন্ত্রণেই চলতে হয় অন্যান্য কর্মকর্তাদের। গত ১৫ মে রাতে কয়েকটি নাশকতার মামলার আসামী মোহাম্মদ ইসমাইলকে সাতকানিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, এই প্রতিষ্ঠানে ডা. সবুজ ও কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইসমাইলের আনুগত্য করলেই জামায়াত ইসলামের আনুগত্য করা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তাদের সুনজর থাকলেই সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের। আবার তাদের বিরাগভাজন হলে পদোন্নতি মিলে না, উলটো তাদের করা হয় মানসিক নির্যাতন।

জানা গেছে, সিআইএমসি’র অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করে কক্সবাজার রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকার ফান্ড কালেকশন করে জামায়াত। মাওলানা শামসুল ইসলাম ও ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজ পৃথক সংস্থা খুলে এই টাকায় পরিচালনা করছে রোহিঙ্গাদের সেই হাসপাতাল। এই প্রতিষ্ঠান থেকে জামায়াতের নায়েবে আমীর শামসুল ইসলামপন্থি শিবির নেতাদের লাখ লাখ টাকা বেতন দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটির দেখভালের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে নগর শিবিরের সাবেক সভাপতি ও পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ইসমাইলকে।

অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ টাকার অনিয়ম হচ্ছে। জামায়াতের ফান্ডে যাওয়ার পাশাপাশি মোহাম্মদ ইসমাইল ব্যক্তিগতভাবেও স্টাফদের বেতন ও বিল থেকে কেটে রাখছেন টাকা। এছাড়া রোহিঙ্গা চিকিৎসা ক্যাম্পের জন্য বিদেশী একটি সংস্থা থেকে পাওয়া প্রায় কোটি টাকা দামের একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসও সিআইএমসিতে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর শিবিরের সাবেক বায়তুল মাল সম্পাদক ওমরগণিও এই প্রতিষ্ঠানটির হর্তাকর্তাদের অন্যতম। এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে নিয়োগ পাওয়া এই শিবির নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলা। মাওলানা শামসুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া সিআইডিসি মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআর) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জামায়াতের নায়েবে আমীর শামসুল ইসলামপন্থি হিসেবে পরিচিত ডা. সবুজের আত্মীয় হোসাইন রশীদকে। জামায়াত ইসলামীর রুকন পর্যায়ের নেতা হোসাইন রশীদ।

প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকের অভিযোগ, ডা. সবুজের নেতৃত্বে মোহাম্মদ ইসমাইল, ওমর গণি ও হোসাইন রশীদ মিলে সিন্ডিকেট করে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে রেখেছে। জামায়াত ও শিবিরের এই নেতাদের কথায় এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের চাকরি, পদোন্নতি, ছুটি নির্ভর করে। কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, এই প্রতিষ্ঠান দুটির সার্ভিস রুলও দেখতে দেওয়া হয় না কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। ডা. সবুজ ও মাওলানা শামসুল ইসলামপন্থি শিবির নেতা যারা চাকরি করেন তাদের প্রয়োজনেই এই সার্ভিস রুল মানা কিংবা না মানা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানটিতে। জানা গেছে, ২০০৩ সালে আইয়ুব-নাসের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চাঁন্দগাওয়ের শমসের পাড়ায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে জমি অনুদান নিয়ে ডেন্টাল হাসপাতালটি গড়ে উঠে। এরপর এই প্রতিষ্ঠানের দিকে চোখ পড়ে জামায়াতের। আইয়ুব-নাসের ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ট্রাস্টি বোর্ড এই প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয়। পরবর্তীতে এটি স্বতন্ত্র ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয়।

প্রতিষ্ঠানটি হিসাব বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবছর কোটা ছাড়া মোট ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তি করায় সিআইএমসি। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এককালীন উন্নয়ন ফি নেওয়া হয় ১৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকা শুধুমাত্র আয় হয় সিআইএমসি থেকে। এছাড়া সিআইডিসিতে ১০ লাখ টাকা করে উন্নয়ন ফি নিয়ে ভর্তি করা হয় ৫০ জন শিক্ষার্থী। এই বাবদ আয় হয় প্রতিষ্ঠানটির ৫ কোটি টাকা।

সিআইএমসি হাসপাতাল থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা আয় হয়। বছর শেষে যে আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১২ থেকে ১৮ কোটি টাকা। এছাড়া সি আইডিসি হাসপাতাল থেকে আয় হয় প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। বছরে যে আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাস্টের সেক্রেটারি হিসেবে একচ্ছত্র প্রভাব খাটিয়ে ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজ সিআইডিসি’র ফান্ড থেকে কোটি কোটি টাকা সিআইএমসি’র ফান্ডে নিয়ে যান বিভিন্ন সময়ে। নিয়ম-নীতি না মেনেই এ প্রতিষ্ঠানের টাকা ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পে। এছাড়া ডা. সবুজের রোষানলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কর্মকর্তা।

জানা গেছে, সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের বোর্ড অব ট্রাস্টি থেকে জামায়াতের পদধারী নেতাদের কৌশলে সরিয়ে নিয়ন্ত্রণ পাকাপোক্ত করতে জামায়াতের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজ। এ বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন, সোসাইটি এন্ড হেলথ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান এখানে দায়িত্বে ছিলেন দেড়-দুই বছর। কিছুদিন আগে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি ৫০ হাজার টাকা ভাতা পেতেন। তবে অব্যাহতির পর তাকে কোনো টাকা দেওয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে দীন মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে ইসমাইল চাকরি করে। ওমর গণিও চাকরি করে। এগুলো ছোটখাটো পদ। তাদের এখানে ক্ষমতার জোর দেখানোর সুযোগ নেই। ইসমাইল গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে বের হয়ে এসে আবার যোগ দিয়েছে। ডা. সবুজ কিংবা কারও এখানে ক্ষমতা দেখানো সুযোগ নেই। কারণ প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগসহ যাবতীয় বিষয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রিত। মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি আছেন এখানে। অতএব এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। যে অভিযোগগুলো তোলা হচ্ছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেভেলপমেন্ট ফর এডুকেশন, সোসাইটি এন্ড হেলথ ট্রাস্টের সেক্রেটারি ডা. মোসলেম উদ্দিন সবুজকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তার সাড়া না পাওয়ায় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু এরপরও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ