মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়পেঁয়াজের কেজি ৯৫ টাকা

পেঁয়াজের কেজি ৯৫ টাকা

ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)

চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পণ্যদ্রব্যের দাম মোটামুটি ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। ঈদুল আজহায় অন্যান্য পণ্যের চেয়ে মসলার চাহিদা থাকে একটু বেশি। প্রতি বছর ঈদুল আজহার আগে মসলার দাম দ্রুত বাড়তে থাকে। এ কারণে মসলার বাজার নিয়ে সাধারণ মানুষরা চিন্তিত থাকেন সবচেয়ে বেশি। তবে এবার বাজারের চিত্র অন্যরকম। মসলার বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দাম বাড়ছে ঈদুল আজহার আরেকটি অন্যতম পণ্য পেঁয়াজের। বর্তমানে পাইকারি বাজারে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ভারতীয় বিভিন্ন সাইজের নাসিক পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর এতে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন সীমান্ত গতকাল থেকে ৪ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে পরিবহন ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ। এসব কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দামের এমন উর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. মতিন জানান, বাজারে অন্যান্য পেঁয়াজের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। মূলত ভোমরা, বেনাপোল, সাতক্ষীরার সোনাদিয়া মসজিদ, হিলিসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আসে। কিন্তু দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিনের জন্য সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে পেঁয়াজ আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহও কমে গেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
পরিবহন ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে উল্লেখ করে পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স গোপাল বাণিজ্য ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘ভোমরা থেকে এক ট্রাক পেঁয়াজ আনতে যেখানে ২৮ হাজার টাকা খরচ হতো সেখানে বর্তমানে দিতে হচ্ছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। সে সাথে ট্রাক ড্রাইভাররা ঈদুল আজহার অজুহাতে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। পণ্য পরিবহনে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়িও পাওয়া যায় না।’
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিন আগে মায়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হলেও তা গতকাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। অথচ দুই দিন আগে গত বুধবারও একই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৬ টাকায়। অন্যদিকে কয়েকদিনের ব্যবধানে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৮ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়। তবে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও রসুন ও আদার দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজের এমন উর্ধ্বমুখি দামে হতাশ বাজারে আসা ক্রেতারা। গতকাল বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে হতাশার এমন বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। এদের মধ্যে আলী হোসেন জানান, ঈদুল আজহার এখনো পাঁচদিন বাকি কিন্তু বাজারে হু হু করে বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। এ অবস্থা চলতে থাকলে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ