শনিবার, মে ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিটিসিএলের ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বিটিসিএলের ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্টাফরিপোর্টার🙁বিডিসময়২৪ডটকম)

জালিয়াতি করে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) বর্তমান ও সাবেক চার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীত দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বনানী থানায় এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০।
জানা গেছে, অবৈধ ভিওআইপি কললিস্ট মুছে ফেলে বৈদিশিক মুদ্রা থেকে সরকারকে বঞ্চিত করার অভিযোগে দুই মামলার বাদী হয়েছেন দুদক উপরিচালক এসএম সাহিদুর রহমান (৩৮ ও ৪০নং), আরেকটি মামলার বাদী উপপরিচালক মাহমুদ হাসান (৩৯নং) অপরটির বাদী উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) রাফি মোহম্মদ নাজমুস সাদাত (৩৭)।
অভিযুক্ত চার এমডি হলেন- বর্তমান এমডি এস এম কলিমুল্লাহ, সাবেক এমডি খবিরুজ্জামান, আফসারুল আলম, ড. আবু সায়ীদ খান।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট বিটিসিএলের চার এমডিসহ ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬১০ কোটি টাকার চারটি মামলা করার অনুমতি দেয় দুদক।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা বিটিসিএলএ সক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সালের নবেম্বর পর্যন্ত বিটিসিএলের কড়াইলে (বনানী) অবস্থিত আইটিএক্স-৫ ও আইটিএক্স-৭ (মহাখালী আন্তর্জাতিক এক্সচেঞ্জ নামে পরিচিত)-এর মাধ্যমে ৩টি ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ হয়ে বিভিন্ন অপারেটরের কাছে বিদেশ থেকে পৌঁছানো সর্বমোট কল ছিল ৪৫২ কোটি ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৩.১৬ মিনিট। এর মধ্যে বিটিসিএলের মাধ্যমে যাওয়া কল ছিল ২৬১ কোটি ৩১ লাখ ৪১ হাজার ৭০৫.০৮ মিনিট, গেটকো হয়ে যাওয়া কলের পরিমাণ ছিল ৮১ কোটি ৮৯ লাখ ২১ হাজার ৯৫৪.০৮ মিনিট এবং এম এন্ড এইচ হয়ে যাওয়া কল ছিল ১০৯ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ২৭৪.০০ মিনিট। অথচ আইটিএক্স-৫ ও আইটিএক্স-৭-এ ওই সময় কলের পরিমাণ দেখানো হয়েছে মাত্র ২৪০ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৪.৮৮ মিনিট। অর্থাৎ ২১১ কোটি ৮৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮.২৮ মিনিট কল কম দেখানো হয়েছে। যার মূল্য ৭ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৭২ আমেরিকান ডলার বা ৫৭৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৫.৫১ টাকা।
তদন্ত  প্রতিবেদনে বলা হয়, বিটিসিএলের বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য থেকে জানা যায়, আইটিএক্স-৫ ও ৭ এর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে অবৈধ ভিওআইপি কারবার চালানো হয়েছে। প্রমাণ মিলেছে, আইটিএক্স-৫ এর কল ডিভাইস সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হতো না এবং ডিভাইস অকার্যকর বা বিকল রেখে বিদেশ থেকে আসা কল বাইপাস করার বিষয়ে। আর আইটিএক্স-৭ এর সিডিআর সঠিকভাবে জেনারেট করা হয়নি। বিশেষ প্রক্রিয়ায় কল ডাটা মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি এ দুটি আইটিএক্স-এ বিদেশ থেকে আসা কলের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে অতিরিক্ত একটি বি-টেবিল তৈরি করে এবং দুটি আইটিএক্সের প্রতিটির জন্য দুটি করে অবৈধ রুট চালু রেখে কল বাইপাস করা হয়েছে। বিটিসিএলের বিভাগীয় তদন্ত এবং বিটিআরসি ও মন্ত্রণালয়ের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও এর প্রমাণ রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ