শনিবার, মে ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিন'বিএনপি ক্ষমতায় এলে লুটপাট ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হবে': ফটিকছড়িতে প্রধানমন্ত্রী

‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে লুটপাট ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম হবে’: ফটিকছড়িতে প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে জঙ্গিবাদ দমন এবং শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে তিনি ধর্মের নামে মানুষ খুন এবং অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।ইসলাম প্রচারে আওয়ামী লীগই কাজ করেছে, অথচ জামায়াত ও হেফাজত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা ইসলামের নাম ভাঙিয়ে চলে আর মানুষ খুন করে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ফেলাগাজীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মাটিতে একে একে সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবে। তিনি বলেন, “সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে সেই নীতিতে বিশ্বাস করে।” পবিত্র কুররানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। কে ক্ষমতায় যাবে না যাবে, তা আল্লাহ নির্ধারণ করবেন। ”

এ সময় মহাজোট সরকারের  উন্নয়নের ফিরিসতি তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তি চাইলে আওয়ামীলীগের পতাকায় আসার জন্যে আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেছেন, বিএনপি- জামায়াত ক্ষমতায় আসলে মানুষকে শান্তি দিতে পারবে না। যদি শান্তি চান, উন্নয়ন চান, জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চান তাহলে আওয়ামীলীগের পতাকাতলে আসুন। নৌকা মার্কায় যাকে প্রার্থী দেবো তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে জনতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। আপনারা স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। এ সরকারের অধীনে পাঁচ হাজার নির্বাচন হয়েছে। ৬৩ হাজার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে।

কোনও কারচুপি হয়নি। এসময় প্রধানমন্ত্রী জনগনকে নৌকায় ভোট দিতে হাত তোলার আহবান জানালে জনতাও স্বতস্ফূতভাবে হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর একটিবার সেবা করার সুযোগ দিন। নৌকা মার্কায় ভোট দিন। বাংলাদেশকে রাজাকারমুক্ত দুর্নীতিমুক্ত, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ও জঙ্গিবাদমুক্ত করতে আরেকবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করুন।

তিনি বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম ফোর লেনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রামকে বাণিজ্য নগরী হিসেবে আমরা গড়ে তুলেছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেক উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস ও স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ফটিকছড়ি মাঠে একটি  স্টেডিয়াম করে দিবো।

আমরা চাই দেশের মানুষের উন্নয়ন। মাদরাসায় অনার্স কোর্স আমরা চালু করেছি। কওমি মাদরাসার উন্নয়নের জন্য একটি কমিশন ঠিক করে দিয়েছি। কওমি মাদরাসার ছাত্ররা যদি সনদ পায় তাহলে দেশে বিদেশে চাকরি পেতে পারে। আধুনিক শিক্ষা যাতে তারা পেতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করছি।

সাঙ্গু গ্যাস ক্ষেত্র এ এলাকায়। কিন্তু এ এলাকার মানুষ গ্যাস পায় না। ইতিমধ্যে ভোলায় গ্যাস দিয়েছি। আপনারাও যাতে গ্যাস পান, সে ব্যবস্থা আমরা করবো। একইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেজন্য একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প আমরাই করেছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে বিএফ জহুরুল হক ঘাঁটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। তিনটি যুদ্ধ জাহাজ ও দুইটি টহল বিমান উদ্বোধন করেন। এছাড়া নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং কয়েকটির ভিত্তিস্থাপন করেন তিনি।

এরপর বিকেল  ৪টা ১০ মিনিটে দলীয় জনসভার মঞ্চে ওঠেন।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেনছেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি, বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমিন, সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম বিএসসি, সংসদ সদস্য মঈনুদ্দীন খান বাদল, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, সিডিএ চেয়ারম্যান এম এ ছালামসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ