শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েচট্টগ্রাম বিভাগবন্দর নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষে দেওয়া বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক, অনভিপ্রেত

বন্দর নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষে দেওয়া বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক, অনভিপ্রেত

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পক্ষে দেওয়া বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক, অনভিপ্রেত উল্লেখ করে এ ধরণের বক্তব্য দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে মনে করছে বন্দর রক্ষা পরিষদ। শুক্রবার বিকেলে পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পরিষদের নেতারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সংসদের গুরুত্বপূর্ণ একটি কমিটির পক্ষে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কটাক্ষ করে দেওয়া মন্তব্য আমাদের ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। পরিষদের নেতারা শঙ্কা প্রকাশ করে সংসদীয় কমিটির এ ধরণের বক্তব্য উদ্দেশ্যমূলক ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে বলেন, সংসদীয় কমিটির পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল হাই যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সংসদীয় রীতির শিষ্টাচার বহির্ভুত।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে গত প্রায় আট বছর ধরে স্টিভিডোরিং লাইসেন্স ছাড়াই সাইফ পাওয়ারটেক নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সিসিটি, এনসিটিতে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা আইসিডিতেও অবৈধভাবে কাজ নিয়ে ১৭মাস ধরে  চুক্তি ভঙ্গ করে চলেছে। যা শুধু বেআইনী নয়, সরকারি নিয়মকানুন ও বন্দরের বিধি বহির্ভুত। এটা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।

বন্দর রক্ষা পরিষদ গত দুই মাস ধরে বন্দরের ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় কাজ হাতিয়ে নেওয়া অবৈধ সাইফ পাওয়ারটেকের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সাইফ পাওয়ারের অবৈধ কার্যক্রম লাগামহীন পর্যায়ে চলে গেছে। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে বন্দর রক্ষা পরিষদ আন্দোলনে নেমেছে।

আন্দোলন শুরুর পর আমরা আশা করেছিলাম সংসদীয় কমিটির সদস্যগণ সাইফ পাওয়ারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সমূহ সরেজমিনে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করবেন। কিন্তু কোন তদন্ত বা অনুসন্ধান ছাড়া সংসদের গুরুত্বপূর্ণ এ কমিটির পক্ষে মন গড়া বক্তব্যে আমরা মর্মাহত। যা প্রকারান্তরে চট্টগ্রাম বন্দরে চলমান দুর্নীতি ও সাইফ পাওয়ারের অবৈধ কার্যক্রমকে উৎসাহিত করবে।

সংসদীয় কমিটিকে প্রকৃত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে উৎঘাটন করে তা জাতির সামনে উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে পরিষদের নেতারা বলেন, তদন্তে নিশ্চয় আমাদের উত্থাপিত অভিযোগ ও দাবির প্রমাণ মিলবে। মহিউদ্দিন চৌধুরী বর্তমান সরকারের পরীক্ষিত নেতা উল্লেখ করে বলা হয়, সংসদীয় কমিটির সদস্যগণও সরকারের চালিকাশক্তির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের লক্ষ ও উদ্দেশ্য এক। সংসদীয় কমিটির সদস্যগণ তাদের অলীক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে বন্দরে সাইফ পাওয়ারের নজিরবীহিন আর্থিক কেলেঙ্কারীর ঘটনা উৎঘাটনে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান পরিষদের নেতারা।

‘আমরা আশাকরি সংসদীয় কমিটি সরেজমিন তদন্তের উদ্দ্যোগ নেবে। আমরা আমাদের কাছে সাইফ পাওয়ার সহ অন্যান্য পথে যেসব অনিয়ম দূর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা  বন্দরে ঘটেছে তার স্বপক্ষে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করে আপনাদের সহয়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি। এতে দুর্নীতির সাথে জড়িত সাইফ পাওয়ার ও এর নেপথ্যে সহযোগী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মুখোশ খুলে যাবে। সরকারের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ