তিনি জানান, অবসরে যাওয়ার আগে তিন মাদক চোরাচালান মামলার ১১ আসামিকে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে খালাস দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুদক এ অভিযোগ আমলে নিয়ে মঙ্গলবার থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
প্রনব ভট্টাচার্য জানান, দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়কে প্রধান করে দুই সদস্যের অনুসন্ধানকারী দল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন, সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম। দুদক সূত্রে জানা যায়, বিচারক ফারুক আহম্মেদ ৯ কোটি টাকার হেরোইন পাচারের দুইটি ও সাড়ে ৩ হাজার ইয়াবা পাচারের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় ৭ বিদেশিসহ ১১ আসামির বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে তাদের খালাস দেন।
এছাড়া ১৫টি চাঞ্চল্যকর চোরাচালান মামলার আসামিকেও খালাস দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিন মামলার ক্ষেত্রেই আলামত উদ্ধারের জব্দ তালিকায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য না নিয়ে মামলার কার্যক্রম শেষ করেছেন তিনি। দু’টি হেরোইন মামলায় দীর্ঘদিন ধরে অন্য আদালতে স্থানান্তরের পর অতি দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে আসামিদের খালাস দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আর এসব মামলায় বিপুল পরিমান অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে বিচারক ফারুক আহম্মেদের বিরুদ্ধে।