সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিসম্প্রচার নীতিমালার উদ্দেশ্যই হচ্ছে বাকশালকে প্রতিষ্ঠিত করা : মির্জা ফখরুল

সম্প্রচার নীতিমালার উদ্দেশ্যই হচ্ছে বাকশালকে প্রতিষ্ঠিত করা : মির্জা ফখরুল

জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নতুন মোড়কে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের উপায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।   ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

ফখরুল বলেন, এ সম্প্রচার নীতিমালা দেওয়ার একটিই উদ্দেশ্য। সেটি হচ্ছে, একদলীয় বাকশালকে প্রতিষ্ঠিত করা।  তিনি বলেন, আইন করে বা বাকশাল করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করতে হচ্ছে না এবার আওয়ামী লীগের। এবার তারা নতুন মোড়কে আরও অপকৌশলে সেই কাজটি করে যাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, এখন আসলে আমাদের কথা বন্ধ হয়ে গেছে। কী বলবো, আর কী বলবো না- তাই এখন বুঝতে পারছি না।  তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা হল মৌলিক অধিকার। সংবাদপত্র হল মানুষের কণ্ঠ।  মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না। মিষ্টি কথা বলে ক্ষমতায় এসে তারা তাদের আসল চেহারা দেখিয়ে দেয়। সেটি অত্যন্ত দানবীয় চেহারা।  তিনি বলেন, এখন আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা বিগত আন্দোলনে সফল হয়েছি মানুষের কাছে, বিশ্বের কাছে। নির্বাচনে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগকে তারা চায় না।

ফখরুল বলেন, এ নীতিমালা হাসানুল হক ইনুর হাত দিয়ে এসেছে। তিনি একদিন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলেছিলেন। একজন তাই বলেছেন, তারা (জাসদ) এখন কাফফারা দিচ্ছেন।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের যতো ক্ষতি করেছে তা কেউ করেনি। তারা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

ফখরুল বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা যে বিচারপতি খালাস করেছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বিচার ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করছে। কারণ এখন তাদের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।  তিনি বলেন, যতো স্বৈরাচারী সরকার এর আগে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের সবাইকে আওয়ামী লীগ সরকার হারিয়ে দিচ্ছে। ফখরুল বলেন, নাগরিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। কেউ উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেললে সেটির বিচার আজ পাওয়া যায় না।

ফখরুল বলেন, আমাদের আজ জড়তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। ফ্যাঁসিবাদী সরকার ত্রাস সৃষ্টি করে। সেটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তিনি পেশাজীবীদের প্রতি প্রতিরোধ গড়ার আহবান জানিয়ে বলেন, তা না হলে গণতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট হবে।  সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের নেতা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুর রউফ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিম, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, বিএফইউজে’র একাংশের মহাসচিব এম এ আজিজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ