বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউসংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করে নির্বাচন দিতে হবে- মির্জা ফখরুল

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করে নির্বাচন দিতে হবে- মির্জা ফখরুল

fakrul Mizaসংলাপ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি। ফখরুল বলেন, “আমরা সংলাপের ব্যাপারে সরকারকে বার বার বললেও সরকার এ ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সরকারের শুভ বুদ্ধি থাকলে গুরুত্ব দিতো।” তিনি বলেন, “সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করে নির্বাচন দিতে হবে। তবেই সব সমস্যার সমাধান হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকার জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করছে। সারাদেশের মানুষ যে দাবির জন্য আন্দোলন করছে, সে দাবিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না সরকার।”
তিনি বলেন, “বিএনপি যখনই জনগণের দাবির বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায়, তখনই সরকার ভিন্ন সুরে কথা বলে।” এটা একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সরকারের কাছে কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।  তিনি বলেন, “শুধু এ দেশের জনগণই নয়, বিশ্বের সবদেশই আশা করে, বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন।”

সরকার জনগণের দাবির প্রতি গোঁয়ার্তুমি করছে অভিযোগ করে বলেন, তারা ব্যস্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানিতে। মির্জা ফখরুল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানান।  বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনা, বাংলাদেশেকে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার অবদানেরও প্রশংসা করেন ফখরুল।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন,  লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের খালেদা জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া মাজার প্রাঙ্গণে কোরানখানি মিলাদ পাঠ করা হয়। জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। এছাড়া জিয়ার মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে রক্তদান কর্মসূচি পালন করে দলের অঙ্গসংগঠন ড্যাব।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ