রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত...

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত সুবিধামতো সময় নিতে পারবেন- আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের স্বার্থে আদালত সুবিধামতো সময় নিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আইনের বেধে দেওয়া ৬০ দিন কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের বেঁধে দেওয়া সময় নির্দেশনামূলক, বাধ্যতামূলক নয়।

আমেরিকান সরকারের সহযোগিতায় শাস্তি হ্রাসের আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ দেওয়ার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিচার বিভাগ প্রশাসন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (জেএটিআই) যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী শাস্তি হ্রাসের আবেদন সংশিষ্ট প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলমান এই প্রশিক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার মন্ত্রণালয়ের দুজন আইনজীবি ও একজন বিচারক বাংলাদেশের ২৫ জন বিচারক, ১০ জন আইনজীবি ও ৫ জন বিবাদী আইনজীবিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণে বিচারক ও আইনজীবিদের সামনে শাস্তি হ্রাসের আবেদনের প্রাথমিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

রাজধানীর একটি হোটেলে বুধবার সকালে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের সনদপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন জন ড্যানিলোভিজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান যে আইন রয়েছে তা বেশ পুরোনো। সময়ের সঙ্গে অপরাধের গতিধারা পরিবর্তন হলেও এদেশে পুরনো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনা করা হয়।

শফিক আহমেদ বলেন, বাদী-বিবাদী উভয়ের জন্য  প্রি-বারগেইনিং পদ্ধতি বহুদেশে প্রচলিত রয়েছে। সালিশ-নিস্পত্তির মতো এই পদ্ধতির মাধ্যমেও বিবাদমান আইনি আইনি প্রক্রিয়া সহজতর হয়।

জন ড্যানিলোভিচ বলেন, বাংলাদেশে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিবাদ মেটাতে আইনি প্রক্রিয়ায় গতি এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আইনি জট খুলতে সব সময় সাহায্য করে আসছে।

শাস্তি হ্রাসের আবেদন পদ্ধতি বাংলাদেশের নাগরিকদের ও অপরাধের শিকারদের ন্যায়বিচার অর্জনের যাত্রাকে ত্বরন্বিত করবে বলে ড্যানিলোভিচ মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধ্বতন জেলা প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দ্বারা নিয়োজিত কোর্ট বিচারক জর্জ স্টিহ এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, শাস্তি হ্রাসের আবেদন সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি য্ক্তুরাষ্ট্র বিচার মন্ত্রণালয়ের প্রসেকিউটোরিয়ার ডেভেলপমেন্ট, এ্যাসিট্যান্স ও ট্রেনিং (ওপিডিএটি) দফতরের বিশ্বব্যাপী আইনের শাসন ও অংশীদার রাষ্ট্রে বিচার প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ