সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউশ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন

শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন

কল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রেখে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধনে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। বুধবার রাতে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৩’ বিলটি উত্থাপন করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।  উত্থাপনের পর বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শ্রম আইনকে যুগোপযোগী করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিত, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন প্রক্রিয়া সহজ, মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাই বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে বিলটি পাস করা জরুরি।

শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত করতে ৪৬ ধারায় নতুন একটি উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। ওই উপ-ধারায় বলা হয়েছে, সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে মালিক সংগঠন বা শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কনফেডারেশনের কাছ থেকে সহযোগিতা নিতে পারবে। তবে এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি নিতে হবে।

আইনের ৪ ধারায় যুক্ত ১১নং উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী কাজের জন্য কোনো অস্থায়ী অর্থাৎ সাময়িক, দৈনিকভিত্তিক ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে না। কোনো শ্রমিকের শিক্ষানবীশকাল শেষে বা তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি শেষে কনফারমেশন লেটার না দেওয়া হলেও তিনি স্থায়ী বলে গণ্য হবেন। আর চিনিকল, চাতাল প্রভৃতি শিল্প ও মৌসুমী কারখানায় শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের বছরের নিয়োগকৃত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিলের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ না করে কোনো শ্রমিককে তার বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। তবে বিলের ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিক বিনা নোটিশে ১০দিনের বেশি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাকে ১০ দিনের সময় দিয়ে তাকে ছাঁটাই করা যাবে।

বিলের ২৭ ধারায় বলা হয়েছে, ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক চাকরি করেন এমন প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকতে হবে। পেশাগত রোগে আক্রান্ত শ্রমিকদের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

বিলে আরো বলা হয়েছে, ৫০ জনের বেশি শ্রমিক আছেন এমন কারখানায় সেইফটি কমিটি থাকতে হবে। নিয়মিত অগ্নি নির্বাপন মহড়া দিতে হবে। কারখানায় আবাসনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে নূন্যতম একশ’ স্থায়ী শ্রমিক থাকলে সেখানে গ্রুপ বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিলে শ্রমিকদের জন্য একটি কল্যাণ তহবিল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ