বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়গোপালগঞ্জের নাম-নিশানা আল্লার রহমতে এদেশে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না : শেখ...

গোপালগঞ্জের নাম-নিশানা আল্লার রহমতে এদেশে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না : শেখ হাসিনা

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতির পিতার জন্ম। তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছি। গোপালগঞ্জ স্বাধীনতা দিয়েছে। এই গোপালগঞ্জ নিয়ে উনার এতো  রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ। গোপালগঞ্জের নাম বদলে দেয়ার খালেদা জিয়ার বক্তব্য নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার রংপুরের পীরগঞ্জের ফতেপুরে ওয়াজেদ মিয়ার বাড়ি জয় সদনে দলীয় এক কর্মী সভায় একথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের নাম-নিশানা আল্লার রহমতে এদেশে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। মিথ্যার বেসাতি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের নামই থাকবে না। যুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান মেজর ছিলেন। জাতির পিতা তাকে প্রমোশন দিয়ে দিয়ে মেজর জেনারেল বানিয়েছিলেন। আজ উনি (খালেদা জিয়া) মেজর জেনারেলের স্ত্রী হয়েছেন জাতির পিতার কারণে।

আরেকটি বিষয় আছে তা বলতে চাই না বলেই শেখ হাসিনা বলেন, উনি যে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসাবে থাকতে পেরেছেন তা জাতির পিতার বদৌলতে। তাহলে এই গোপালগঞ্জের উপর উনার এতা রাগ কেন, প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালে গ্রেনেড মেরে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতেছিলেন। এরপরেও হত্যা করতে পারেনি…এটাই বোধহয় উনার বড় দুঃখ। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এটাই উনার দুঃখ। পেয়ারা পাকিস্তান আর নাই। এটাই উনার দুঃখ।

বিএনপি চেয়ারপারসন সংলাপের আলোচনার প্রস্তাবের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়ে দেশ ছাড়ার হুমকি দিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কে পালায় আর কে না পালায় তা ভবিষ্যতেই দেখব। উনি ইলেকশন করবেন না। ইকলেশন ঠেকাবেন। কিভাবে ঠেকাবেন, জনগণ যে পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন চায়। বিরোধী দলের ঢাকা অভিযাত্রা কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, পতাকা নিয়ে নামতে বললেন, জনগণ সাড়া দিল না। ১০-১১টায় সমাবেশের কথা বলে ৩-৪টার দিকে উনি তৈরি হতে পারলেন না। মাহিলা পুলিশসহ অন্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলেন।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদের দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন,  গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে খালেদার ছেলে ও মন্ত্রীরা জড়িত। উনি যে জড়িত ছিলেন না তা কীভাবে প্রমাণ করবেন?
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন করতে পারছে না বলেই বিএনপিও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার শক্তির আঁধার, প্রাণভোমরা হলো জামায়াত। মানুষ খুন করে, ভাড়া করে লোক এনে বোমা মেরে, রাস্তা কেটে ফেলে, গাছ কেটে ফেলে। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারবেন না।

দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হবেই। আর্থ সামাজিক কাজগুলো আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশেকে উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার ঘুম থেকে উঠতে ১টা বাজে সেদিন উনি সরকারি গাড়ি, প্রটোকল না নিয়ে গোপনে কোথায় গিয়েছিলেন? কেন পালালেন সেই জবাব চাই। তার মানে তিনি জানতেন। নইলে সকালে তো উনার যাওয়ার কথা না। বিডিআরের ঘটনার পর খালেদা জিয়া এক- দেড় মাস ক্যান্টনমেন্টের বাসায় যাননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এরপরেও ওই বাড়িতে গেলে বেশিক্ষণ অবস্থান করতেন না। সাংবাদিকদের এ ঘটনা খুঁজে বের করা উচিত।

বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা বিডিআর হত্যাকারীদের পক্ষে, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ওকালিত করেছে। অর্থাৎ খুনিদের মদদ দেয়াই উনার চরিত্র। শমেসর মোবিন চৌধুরীর উপর দায়িত্ব ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে নিয়ে রাখার। কারণ তারা তাদের দলের লোক। উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবস্থার উন্নতি হওয়ার কারণেই এদেশের মানুষ মঙ্গা ভুলে গেছে। নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আপনাদের প্রার্থী হিসাবে এখানে এসেছি। আমি ভোট চাই। আমাকে ভোট দেবেন। পীরগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলু বলেন, ৮০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতিতে ভোট দিয়ে আপনাকে জয়যুক্ত করব।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ