সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মোশাররফ বলেন, ‘সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংবিধানে সংশোধনী এনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লন্ডনে একটি সভায় বক্তব্য দিয়েছেন তাতেই সরকার ভয় পেয়েছে। এক এগারোর ধারাবাহিকতায় জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না।’
মোশাররফ বলেন, ‘সভা-সমাবেশ বন্ধ করে সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে চায়। কিন্তু গুম-খুন আর দমন নীতির মাধ্যমে বিরোধী দলের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। আমাদের আন্দোলনে জনসমর্থন রয়েছে।’
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা। তিনি বলেন, ‘আগামীতে দেশের জনগণ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আগামীতে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। ভরাডুবির কথা চিন্তা করে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চায় না।’ এসময় লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করে জনগণের দাবি পূরণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ বলেন, ‘আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে। না হলে তারা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। সরকারকে সরাতে হলে কঠোর আন্দোলনে ছাত্রদলকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে।’
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ সবুজ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।