জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুর্নীতির মামলা দু’টি বিচারাধীন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ বাসুদেব রায়ের আদালতে। ঢাকা মহানগরের বকসিবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত অস্থায়ী আদালতভবনে এ বিচার চলছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য বিচারিক আদালত।
বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন খালেদা জিয়া। গত ১৯ জুন রিটটি খারিজ করে দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ(তৃতীয় বেঞ্চ)। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই আপিল বিভাগে দু’টি সিএমপি (৭৬৫ ও ৭৬৬) আপিল করেন খালেদা। এ আপিল দু’টির শুনানি শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। খালেদার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দু’টি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। আপিলে বিচারিক আদালতে চলমান মামলা দু’টির বিচারিক কার্যক্রমেও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মামলা দু’টিতে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ এপ্রিল রিভিশন আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ৭ জুলাই ওই রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল (সিপি) দাখিল করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ আপিল দু’টির শুনানি শুরু অপেক্ষায় রয়েছে।