মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিএ কে খন্দকারকে অভিবাদন জানিয়েছেন হান্নান শাহ

এ কে খন্দকারকে অভিবাদন জানিয়েছেন হান্নান শাহ

সত্য কথা বলার জন্য মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান সেনাপতি ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারকে অভিবাদন জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ। রোববার দুপরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেঞ্জ লাউঞ্জে এক মুক্ত আলোচনায় এ অভিবাদন জানান তিনি। অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘বাংলাদেশে গুম, খুন, অপহরণ, মানবাধিকার লংঘন ও বিচার ব্যবস্থা’ রিপোর্টের উপর এ মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে ফ্রি থিঙ্কারস ফোরাম (এফটিএফ)।

হান্নান শাহ বলেন, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দাকর, সাবাশ! সাবাশ বাপ কা ব্যাটা! সত্য বলতে ভয় পায় না। সত্য বললেই আওয়ামী লীগের কাছে খারাপ হয়ে যায়। তারা সত্যকে ভয় পায়। আওয়ামী লীগে সত্য কথা বলার মত লোক পাওয়া যায় না। যে দু’একজন আছে তাদেরকে তারা সত্যকে সহ্য করতে পারে না। তাই যারাই সত্য বলে তাদের বিরোধীতা শুরু করে। আমি হলফ করে বলছি, উনি (এ কে খন্দকার) যেসব কথা বলেছে তার প্রত্যেকটি কথা সত্য। তিনি বলেন, বিষয়টা জামায়াতের মত হয়ে গেছে। জামায়াত যখন তাদের সঙ্গে ছিল, একে অপরের জায়নামায-তসবিহ বিনিময় করেছে। আর এখন জামায়াত খারাপ হয়ে গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ বলেন, দেশের গুম খুন নিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার কমিশন যথাযথ দায়িত্ব পালন না করতে পারায় নৈতিকভাবে এর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের পদত্যাগ করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা না করে সরকারের বেতনভূক্ত কর্মচারির ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। হাঠাৎ করে সাদা পোশাকে কেউ কাউকে ধরতে পারবে না। আসামীকে ওয়ারেন্ট সাপেক্ষে পোশাকধারী সদস্যরা দিনে গ্রেফতার করার বিধান করতে হবে। ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ব্যঙ্গ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান সরকারের ছোট দাদা ও বড় দাদা আছে সীমান্তের বাইরে। আমাদের কেউ নাই। বাংলাদেশই আমাদের নেত্রীর শেষ আশ্রয়। ট্রানজিট দেবেন কোনো বিনিময় ছাড়া। ভারত কি এটা মামার বাড়ি পাইছে?

সরকারই জঙ্গিদের মদদদাতা অভিযোগ করে হান্নান শাহ বলেন, জাসদ একটি জঙ্গি সংগঠন ছিল। এই সরকার যে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে আজকে জাসদের সমর্থনে প্রমাণিত। সরকারই জঙ্গিদের মদদদাতা, বিএনপি বা অন্য কোনো সংগঠন নয়। তিনি বলেন, গতকাল এক টকশোতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি তার বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন। তার বাবা বাকশাল ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কাজ শুরু করেন নি। তিনি শুধু বাকশাল শুরু করে শেষ করে যেতে পারেন নি। আজ তিনি সে কাজই সমাপ্ত করছেন।

একই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী সংসদে হতে যাচ্ছে। এটা বিচারপতিদের অভিসংশনের। এটা বড় হুমকির বিষয়। আজকে বিচারপতিদের ইমপিচমেন্ট বিধান করছে কারা? যারা নিজেরাই অবৈধ! এটার পরে বিচার ব্যবস্থা কঠিন সংকটের মধ্যে পড়বে। এই আইন পাস হলে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদবে। এসময় নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদের প্রার্থীতা থেকে সরে আসার আগে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলেও মনে করেন লে. জে. মাহবুব।

মানবাধিকারের পরিস্থিতি তুলে ধরে মাহবুবুর রহমান বলেন, র্যাব একটা কলঙ্কিত বাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। আজকে আমাদের রাজনৈতিক কালচার হিংসা-বিদ্বেষে ভরে গেছে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। এর জন্যই কি আমরা দেশ স্বাধীন করেছি?  সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও আলোচনা করেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাছের মো. রহমাতুল্লাহ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ