বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপআগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা

আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা

আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগকে আবারও দেশ সেবার সুযোগ দেয়ার জন্য রংপুরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে তিনি রংপুরবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা মার্কা ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নতি হয়, কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আছে বলেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আছে বলেই আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কাজেই নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। সেটাই আপনাদের কাছে চাই। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবার প্রতিশ্রুতি চাইলে সবাই হাত উঁচিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। রংপুরের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কাজ করেনি। নৌকা মার্কা ক্ষমতায় এলেই কাজ হয়। নৌকা ছাড়া হয় না। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আজকে দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। আজকে হতদরিদ্র বলতে তেমন কেউ নেই, মাত্র পাঁচ শতাংশ। আল্লাহর রহমতে সেটুকুও থাকবে না। কোনো মানুষ হতদরিদ্র থাকবে না।

তিনি বলেন, যখন ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম তখনও মন্দা ছিল না। কিন্তু ২০০১ সালে যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে তখন তার ছেলেরাসহ তাদের লোকজন দুই হাতে টাকাপয়সা লুটপাট করে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আবার দেশে মন্দা শুরু হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে আমরা সরকার গঠন করি। তারপর থেকে এ দেশের কোনো মানুষের আর কষ্ট হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমারা প্রত্যেক এলাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। নারীদের জন্য কাজের সুবিধা করে দিয়েছি। আমাদের কাজের লক্ষ্য দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করা, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নত করা। এ অঞ্চলে জীবনেও দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না, মঙ্গা দেখা দেবে না। বাংলাদেশে কোনো ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। তিস্তা মহাপরিকল্পনাও বাস্তায়ন করব।

শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে সারের দাবিতে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কৃষকের ঘরে সার পৌঁছে দিয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। রংপুরেও খালি হাতে আসিনি। ২৭ উন্নয়ন প্রকল্প উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছি। রংপুরের মানুষের উন্নয়ন যাতে ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যবস্থা করেছে তার সরকার।

প্রত্যেক এলাকায় আওয়ামী লীগ উন্নয়নের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দারিদ্রের হার কমেছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, উন্নয়ন করা। ভবিষ্যতে রংপুরে আর কখনোই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না। সরকার সে ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশে আর কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় কোনো মানুষ আর ঠিকানাহীন থাকবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী আছে, যারা সবসময় দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আওয়ামী লীগ মানুষের উন্নয়ন করে। দেশের প্রতিটি অঞ্চল সমানভাবে উন্নয়ন হবে সেটাই সরকারের লক্ষ্য। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট করেছে। আর ক্ষমতার বাইরে থেকে জ্বালাও-পোড়াও করে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা দেশ ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাকি যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কোনো কাজ করেনি।

এর আগে বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে তিনি ২৭ উন্নয়ন প্রকল্প ও ৫ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশ মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর সোয়া ১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে রংপুর সার্কিট হাউসে আসেন। সেখানে তিনি বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ