প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন হলে উত্তরের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে। পরিবেশের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করছে বাংলাদেশ। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের (আরএনপিপি) দ্বিতীয় ইউনিটের পরমাণু চুল্লি স্থাপনের কার্যক্রম উদ্বোধন করে তিনি এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। এর আগে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল যন্ত্র রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল (পারমাণবিক চুল্লি পাত্র) স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল। এটিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের হার্ট বা হৃৎপিণ্ড বলা হয়। এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রথম ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের ৭৫ ভাগ ভৌত-অবকাঠামো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়ায় এখানে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন হচ্ছে। প্রতিটি যন্ত্র সর্বোচ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী বসানো হচ্ছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সনদ নিতে হয়েছে।
শৌকত আকবর জানান, আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। আর দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবে ২০২৪ সালে।
এই প্রকল্পের কাজ সব মিলিয়ে ৫৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৭৩ ভাগ এবং দ্বিতীয় ইউনিটের প্রায় ৪৮ ভাগ। আগামী বছর অক্টোবরের মধ্যে রাশিয়া থেকে এই প্রকল্পের জ্বালানি ইউরেনিয়াম আসা শুরু হবে। চুক্তি অনুযায়ী এই প্রকল্পের লাইফ টাইম জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়ার কোম্পানি রোসাটম।