বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনডিসেম্বরের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়া হবে : সেতুমন্ত্রী

ডিসেম্বরের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়া হবে : সেতুমন্ত্রী

এ বছরের ডিসেম্বরের শুরুতেই চট্টগ্রামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে এ সব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। এরইমধ্যে গতকাল ভাড়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে মেগা প্রজেক্টগুলোর দায়িত্ব পালন করছি- এ কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল, অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন কিন্তু যারা কাজ করেছেন তাদের উৎসাহ দিতে ঈদের দিনেও সেখানে গিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমার হাতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে আরও ২৭টি ছোটবড় ও মাঝারি প্রকল্প। আগামী বছর ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ হবে। অক্টোবরে চালু হচ্ছে দেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতু।

দেশের সমমায়িক বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  বলেন, আওয়ামী লীগ আগের জাতীয় নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের দাবি করেছিল, আগামী নির্বাচনেও তাই চায়। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা তাদের বিষয়।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন-এমন কোনো কথা নেই। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা যা চেয়েছি ভারত সব দিয়েছে। শেখ হাসিনা তিস্তার কথা বলতে ভুলে যাননি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কিছুটা আপত্তি আছে। আশা করি, সেটিও হয়ে যাবে। বিএনপির তো না পাওয়ার হতাশা। আমাদের না পাওয়ার হতাশা নেই। আপনারা ভারতের সঙ্গে দেয়াল তুলেছেন, আমরা সেই দেয়াল ভেঙে দিয়েছি। কোন দেশের ছিটমহল বিনিময় এতো শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। আপনারা তো ভুলেই যান আসল কথা বলতে। আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্ব থাকলে সমস্যা যা আছে সেগুলো সমাধান হবে।

সংলাপে দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা বিষয়ে সমস্যা চিহ্নিত করে দুর্ঘটনা নিরসনে কাজ চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার জোর দিচ্ছে। দুর্ঘটনায় নতুন উপদ্রব হিসেবে এসেছে মোটরসাইকেল। সড়ক নিরাপত্তা এখন বড় দুর্ভাবনার বিষয়, দুর্ঘটনা কম হলেও মৃতের সংখ্যা বেশি এ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

এ সংলাপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমার জীবন-সংগ্রাম কঠিন ছিল, স্রোতের বিপরীত চলেছি। আমি অবশ্যই খুব ভাগ্যবান। অনেকে রাজনীতি করে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন কিন্তু মন্ত্রী হতে পারেননি। কিন্ত আমি ১৬ বছর মন্ত্রিত্ব করছি। এটা অনেক বড় পাওয়া। আওয়ামী লীগের মতো দলের দুবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। দলকে সাজানো হচ্ছে এবং সাংগঠনিক কাঠামো জোরদারও করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ