ন্যাশনাল ডেস্কঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেই এবার শেরপুরে পরিতোষ চন্দ্র সাহা নামে একজন মেডিকেল অফিসারের যৌন ভিডিও নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পর্দানশিন এক তরুণীকে সে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার পর সে গাঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, জেলার নকলা উপজেলার গনপদ্দি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার পরিতোষ চন্দ্র সাহা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং নকলা শহরে অবস্থিত তার চেম্বারে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছিল। বিষয়টি টের পেয়ে কে বা কারা প্রায় এক সপ্তাহ আগে ডাক্তারের চেম্বারের দরজার ফাঁকে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তার সেই অনৈতিক কার্যকলাপের দৃশ্য ধারণ করে। এরপর তা দ্রুত মোবাইলের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে দেয়। পরিতোষ সাহা উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সে নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে থাকে।
ওই দৃশ্যে দেখা যায়, পরিতোষ বোরকা পরিহিত এক তরুণীকে চিকিত্সার নামে জড়িয়ে ধরে ধস্তাধস্তি করছে এবং তার বোরকা ও গায়ের জামা খোলার চেষ্টা করছে। তরুণীটি তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও তার হাত থেকে এ যাত্রায় বাঁচতে পারেনি। প্রায় তিন মিনিটের ওই দৃশ্য দেখেই বোঝা যায়, পরিতোষ এভাবে অসংখ্য রোগীর শ্লীলতাহানি করেছে।
জানা গেছে, পরিতোষ কোনো মহিলা রোগী দেখলে ওই রোগীর সঙ্গে মা বা বোন থাকলে তাকেও বের করে দিয়ে রোগী দেখে সে। ভিডিও ক্লিপটি মোবাইলের মাধ্যমে নকলাবাসীর হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তা ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু আমি ছুটিতে আছি, তাই ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা—তা নিশ্চিত হতে পারছি না।’ তবে ভিডিওতে প্রমাণ থাকার পরও পরিতোষ বিষয়টি অস্বীকার করে এবং অদ্ভুত ব্যাখ্যা হাজির করে। মোবাইলে সে বলে, ‘একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। রোগীটি আমার ওপর ইচ্ছে করে পড়ে যায়। আমি তাকে জড়িয়ে ধরিনি।’
স্থানীয়রা জানায়, গত ক’দিন থেকে ওই ভিডিও ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় হলেও সে কোনো ভ্রূক্ষেপ করেনি। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের ক’জনের শেল্টারে সে তার চেম্বারে চিকিত্সা করে আসছিল। তবে বুধবার রাতে বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে পরিতোষ গাঢাকা দেয়। অপরদিকে ভিডিও ক্লিপটির ওই তরুণীর কোনো সন্ধান কেউ বলতে পারেনি। তবে কেউ কেউ ধারণা করছে, তরুণীটি কোনো স্কুল অথবা কলেজের শিক্ষার্থী হবে এবং তার বাড়িও আশপাশের কোনো গ্রামে।
