শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েজলমহাল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত

জলমহাল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের পাশের জারলিয়া জলমহালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন দিরাইয়ের হাতিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম (৩৩) ও আতিলনগর গ্রামের ইসহাক মিয়ার ছেলে শাহারুল।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জারলিয়া জলমহালের দখল নিয়ে স্থানীয় দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস ও হাতিয়া গ্রামের একরার হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত দুদিন দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ সকালে ধনঞ্জয় দাসের লোকজন জলমহালের দখল নিতে গেলে অপর পক্ষ একরার হোসেনের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও বন্ধুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একরার হোসেনের চাচাতো ভাই তাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত পাঁচজনকে প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ শাহারুলকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শাহারুল একরার হোসেনের সমর্থক।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের শরীরে বন্দুকের গুলির চিহ্ন আছে। যোগাযোগ করা হলে ধনঞ্জয় দাস জানান, তাঁরা সমিতির নামে বৈধভাবে ইজারা নিয়ে ওই জলমহালে মাছ ধরছেন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর একরার হোসেন তাঁর লোকজন নিয়ে জলমহাল দখলের চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। আজ সকালে একইভাবে একরার হোসেনের লোকজন জলমহালের দখল নিতে যায়।

ধনঞ্জয় দাস দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকদের সঙ্গে তাঁদের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তাঁরা নিজেরাই তাদের লোককে মেরে এখন সমিতির লোকদের ফাঁসাতে চাইছে। অভিযোগ অস্বীকার করে একরার হোসেন জানান, জলমহালটি তিনি সমিতির কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন এবং জলমহাল তাঁর দখলে আছে। প্রতিপক্ষের লোকজন জলমহালে গিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাজুল ইসলাম মারা যান। যাঁরা হামলা করেছে, তাঁরা দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেনের লোক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ