শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েরাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ 

রাঙামাটিতে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেটসহ ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল জব্দ করেছে দক্ষিণ বন বিভাগ 

২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর ৪টার রাঙামাটি শহরের শেষ প্রান্তে মানিকছড়ি যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্ট পার হয়ে একটি মিনি ট্রাক রাঙামাটি পার্বত্য জেলার দক্ষিণ বন বিভাগের ঘাগড়া চেক পোষ্ট পার হওয়ার সময় বন বিভাগের লোকজন গাড়িটির গতি রোধ করেন।

অবস্থা বেগতিক দেখে চোরা মালামাল পাচারকারীরা গাড়ীটি ঘুরিয়ে মানিকছড়ি যৌথ বাহিনীর  চেকপোস্ট  দিকে ফিরে আসতে থাকে , মানিকছড়ি চেকপোস্টে গাড়িটি আটকানোর জন্য মিনি ট্রাকে যৌথ বাহিনী সংকেত দিলে গাড়ির ড্রাইভার সংকেত অমান্য করে চোরাই কাঠ ও বিদেশী সিগারেট ভর্তি গাড়ি রাঙামাটি শহরের দিকে  অগ্রসর হলে দক্ষিণ বন বিভাগের ঘাগড়া স্টশন কর্মকর্তা তাঁর দলবল নিয়ে গাড়ীটির পিছু ধাওয়া  করেন। এক পর্যায়ে অবস্থা আরও বেগতিক বিপদ অনুমান করতে পেরে গাড়ির ড্রাইভার ও হেলফার ভেদভেদি মুসলিম পাড়া এলাকায় গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়।

দক্ষিণ বন বিভাগের ঘাগড়া স্টশন কর্মকর্তা বিষয়টি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মুঠোফোনে অবহিত করিলে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়ার নির্দেশনায় সহকারী বন কর্মকর্তা গঙ্গাপ্রসাদ চাকমা দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ এর কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সাথে নিয়ে রাঙামাটি শহরের ভেদ ভেদী মুসলিম পাড়া এলাকায় গিয়ে একটি মিনি ট্রাক থেকে কড়ই, গোদা, গুটগুটিয়া, সেগুন, কাঠাল চিড়াই কাঠ ৩১১ টুকরা = ২১৬.০০ ঘনফুট, তেলের খালী ড্রাম ২২টি, অবৈধ বিদেশী সিগারেট (ওরিস সিল্ভার, মন ষ্ট্রভেরী ও মন গ্রিন আপেল  ২৯ বস্তা  ১৩ হাজার ৪ শত প্যাকেট ২ লক্ষ ৬৮ হাজার পিস সিগারেট  এবং চট্টমেট্রো ট ১১-৫৬৫৬ নাম্বারের একটি মিনি ট্রাক জব্দ করেন সব মিলিয়ে যাঁর মুল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা।

২৪ এপ্রিল বুধবার দক্ষিণ বন বিভাগ চোরাইকাঠ কড়ই, গোদা, গুটগুটিয়া, সেগুন, কাঠাল চিড়াই কাঠ ৩১১ টুকরা = ২১৬.০০ ঘনফুট, তেলের খালী ড্রাম ২২টি, অবৈধ বিদেশী সিগারেট (ওরিস সিল্ভার, মন ষ্ট্রভেরী ও মন গ্রিন আপেল  ২৯ বস্তা  ১৩ হাজার ৪ শত প্যাকেট ২ লক্ষ ৬৮ হাজার পিস সিগারেট  এবং চট্টমেট্রো ট ১১-৫৬৫৬ নাম্বারের একটি মিনি ট্রাক জব্দ  তালিকা তৈরী করে রাঙামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট  আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চত করেছেন  রাঙামাটি পার্বত্য জেলার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ