শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়চীনের প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা

চীনের প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে ২১ বার তোপধ্বনি, লাল গালিচা সংবর্ধনা ও পুষ্পার্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় চীনা প্রেসিডেন্টকে। পরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন। সামরিক বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল চীনের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত। গার্ড অব অনার পরিদর্শন শেষে বিশেষ প্রটোকলের মধ্য দিয়ে তিনি রাজধানীর বিমানবন্দর রোডের লা মেরিডিয়ান হোটেলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ১৪ অক্টোবর সকাল ১১টা ৪১ মিনিটে কম্বোডিয়া থেকে তাকে বহনকারী বিশেষ উড়োজাহাজটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন- চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম ।

এদিকে চীনা প্রেসিডেন্টের এই সফরকে ঘিরে প্রায় পুরো ঢাকার শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলোতে দুই দেশের পতাকা নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড, শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং রং বেরংয়ের বাতি দিয়ে আলোক সজ্জা করা হয়েছে। বিমান বন্দরের ভিভিআইপি গেটেও টাঙ্গানো হয়েছে বড় আকারের তিন নেতার তিনটি ছবি। ওভার ব্রিজগুলোতে টাঙ্গানো হয়েছে ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রি দীর্ঘজীবি হোক’ ব্যানার। একই শ্লোগান আছে বিমান বন্দরের প্রবেশদ্বারেও। ব্যানারের মাধ্যমে তাকে স্বাগতও জানানো হয়ছে।

শি জিনপিং’র অবস্থানস্থল ‘হোটেল লা মেরিডিয়ান’ও সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। হোটেলের বাইরে টাঙ্গানো হয়েছে রাষ্টপতি আব্দুল হামিদের ছবির সঙ্গে জিনপিংয়েরও একটি বিশাল ছবি। হোটেলের মূল ফটকে রয়েছে আরো একটি ছবি। হোটেল থেকে বেলা ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এরপর তিনি হোটেলে ফিরলে সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদ ও শি জিনপিং। সফররত প্রেসিডেন্টের সম্মানে দরবার হলে নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। শনিবার সকালে সাভারে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট। এর পরপরই ঢাকা ছেড়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ