বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনশিশু নির্যাতন বন্ধ ও শিশু হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

শিশু নির্যাতন বন্ধ ও শিশু হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

শিশু নির্যাতন বন্ধ ও শিশু হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিশু সুরক্ষা নেটওয়ার্ক। সোমবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। অভিভাবক, শিশুসহ বিভিন্ন সংগঠনের দুই শতাধিক সদস্য মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ‘শিশু হত্যা কেন?, ‘শিশু হত্যার বিচার চাই, করতে হবে’,‘আমাদের নিরাপদে বাঁচতে দিন’, ‘শিশুর জন্য একটি নিরাপদ রাষ্ট্র চাই’, ‘শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ, বাঁচবে জাতি বাঁচবে দেশ’, ‘রাজন ও রাকিব হত্যার বিচার চাই’, ‘শিশুকে ভালবাসুন , শিশু হত্যা বন্ধ করুন’, ‘আমাদের শিশুদের নিরাপদে বেড়ে উঠার নিশ্চয়তা চাই’, ‘শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করুন’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ছিল।

শিশু নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক রফিক আহমেদ বলেন, ‘আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত। দেশে যেভাবে শিশুদের নির্যাতন করে হত্যা করা হচ্ছে এতে জাতির ভবিষ্যত গভীর অন্ধকারে পতিত হচ্ছে।  কারণ এসব ঘটনার মাধ্যমে শিশুদের মনে ভয়ভীতি সঞ্চার হচ্ছে। যা শিশুদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে।  তাই আমরা দেশের সকল শিশুর নিরাপদে বেড়ে উঠার নিশ্চয়তা চাই।

শিশু নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই যেখানে থাকবে না শিশুদের প্রতি কোন বৈষম্য।  শিশুরা তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পাবে। সমাজের প্রতিটি মানুষ তাদেরকে স্নেহ ও ভালোবাসায় লালন পালন করবে।  এজন্য সবার মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। শিশুদের প্রতি সুন্দর ও ভালো আচরণ করতে হবে। কারণ শিশুকাল হচ্ছে শিক্ষার সময়।  এ সময়ে তারা বড়দের কাছ থেকে ভালো ও মন্দ জিনিসগুলো আয়ত্ত করে। ’

শিশু সংগঠক জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, ‘শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে।  এজন্য রাষ্ট্রকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।   প্রত্যেক শ্রেণি পেশার মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিশু নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে আওয়াজ তুলতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মাহবুবুল আলম, নজরুল ইসলাম মান্না, ইয়াছিন মনজু, এস এম শাহীন।

মানববন্ধনে সরকারের কাছে ছয়দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো শিশু নির্যাতন বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সাম্প্রতিককালে সংগঠিত সকল শিশু নির্যাতন এর বিচারিক কাজ দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের আওতায় আনা এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের নৃশংসতা ঘটতে না পারে ব্যবস্থা গ্রহণ, শিশু সুরক্ষা টাস্কফোর্সকে সচল করা, কর্মজীবী শিশুদের রক্ষায় এমপ্লয়ার্স এসাসিয়েশনকে সচেতন করা, শ্রম আইন অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োজিত না করা ও স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শাস্তি বন্ধে স্কুল প্রশাসনকে অবহিত করা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ