পিরোজপুরের চাঞ্চল্যকর অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন মাসুদ হত্যা মামলায় সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুরের কচুয়াকাঠি এলাকার বাসিন্দা সুলতান হোসেন খানের ছেলে কামরুল ইসলাম খান (৪০), আব্দুর রব খানের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫), হেমায়েত উদ্দিন সিকদারের ছেলে আল আমিন সিকদার রনি, দক্ষিণ জৈনকাঠীর মিজানুর রহমান জমাদ্দার (৩৫), পূর্ব আমড়াঘুনির বাসিন্দা মোদাচ্ছের আলী তালুকদারের ছেলে রেজাউল তালুকদার (২৫) এবং সোহরাব খান ও আজিজুল হক খোকন। এদের মধ্যে কামরুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম ও রেজাউল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন জনকে খালাস দেওয়া হয়। এরা হলেন, শাখাওয়াত হোসেন তালুকদার তুহিন. নাজমুল হক মুরাদ ও মোর্শেদ জমাদ্দার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৯ সালের ১২ অক্টোবর টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে পিরোজপুরের নেছারাবাদ সারাঙ্গল এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে অ্যাড. গিয়াস উদ্দিন মাসুদকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্তরা। পরে তার মৃতদেহ কাউখালী বেউলী ব্রিজের কাছে থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার ভাই আল আমিন খান বাদী হয়ে কাউখালী থানায় কামরুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, মুরাদ, মিজান ও ফোরকানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিন করে। আদালত ২৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।