শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কাউন্টার বন্ধ করে পালিয়েছে কর্মকর্তারা। পুলিশও তাদের খুঁজে পাচ্ছে না। ফ্লাইট বাতিল করার পরপরই কর্মকর্তারা তাদের কাউন্টার বন্ধ করে দেন। এদিকে কাউন্টার বন্ধ থাকার ফলে বিভিন্ন দেশে যাওয়া ২ শতাধিক যাত্রীর যাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তারা বিমানবন্দরের ভেতরেই বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের সবকটি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয়। এর পরপরই কাউন্টারটি বন্ধ করে দেয় কর্মকর্তারা। কিন্তু যাত্রীরা তাদের পূর্ব নির্ধারিত ফ্লাইট অনুযায়ী বিমানবন্দরে আসেন। কিন্তু সি-রোতে অবস্থিত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাউন্টার বন্ধ দেখার পরপরই তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসমা আরা জাহান বলেন, রাত সোয়া ৮টার সময় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট দোহা মাসকট যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে কর্মকর্তারা তাদের কাউন্টার বন্ধ করে দেন। যাত্রীরা কাউন্টার বন্ধ দেখার পর বিক্ষোভ করতে থাকেন। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে প্রায় দুইশ’ যাত্রী রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাত্রীরা কিভাবে তাদের গন্তব্যস্থলে যাবেন সেটা ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ জানেন। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে রাত পৌনে ১০টার দিকেও যাত্রীরা সি-রোতে থেমে থেমে বিক্ষোভ করছেন। আর্মড পুলিশের সদস্যরা বিক্ষোভরত যাত্রীদের ঘিরে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় উত্তরায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ইউনাইটেডের সব ফ্লাইট অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। উড়োজাহাজের জ্বালানি ও ইনফ্লাইট খাবার না থাকাসহ নানা কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আর কোনো ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। সংবাদ সম্মেলনে এয়ারলাইন্সের হেড অব মার্কেটিং আফতাব, ডিরেক্টর ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন ইলিয়াস, ক্যাপ্টেন ওয়াহিদ, ডিরেক্টর প্রশাসন উইং কমান্ডার (অব.) ফেরদৌস, ডিরেক্টর কাস্টমার সার্ভিস ফরহাদ, শাহাবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে এরই মধ্যে ইউনাইটেডের দুই ডিরেক্টর পদত্যাগ করেছেন।