বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য এবং আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাস কঠোর সিয়াম সাধনা শেষে সারা দেশের ঈদগাহে ঈদগাহে জড়ো হয়ে দেশ-জাতি এবং মুসলিম উম্মার শান্তি, সমৃদ্ধি কামনায় প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। চোখের পানি বিসর্জন দিয়ে কামনা করেন পরম করুণাময়ের রহমত।

রাজধানীতে সকাল সাড়ে আটটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দেশের প্রধান ঈদের জামাত। লক্ষাধিক মানুষের সঙ্গে এখানে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদসহ দেশের বিশিষ্টজনরা। এছাড়া নামাজ অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ সহ রাজধানীর অন্যান্য ঈদগাহেও।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় এবার ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ১৮৩টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডে ঈদের জামাত হয়  ১৪৯টি স্থানে। এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। শোলাকিয়ার ময়দানে এবার অনুষ্ঠিত হয় ১৮৭ তম ঈদুল ফিতরের জামাত।

ঈদ উপলক্ষ্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, শিশুসদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এছাড়া গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এছাড়া পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জার পাশাপাশি ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দিয়ে সড়ক দ্বীপগুলোর শোভাবর্ধন করা হয়েছে। ঢাকার বাইরের জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় নগরী সহ দেশের সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর।

সকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় সমজিদ ময়দানে  অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। নামাজ আদায় করতে সমবেত হন হাজার হাজার মুসল্লি। নামাজে ইমামতি করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-কাদেরী। এ বছর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নগরীতে ২৪৪টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহীতে সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

খুলনায় ঈদুল ফিতরের নামাজে প্রতিটি ঈদগাহ ও মসজিদে মুসল্লিদের ঢল দেখা গেছে। বিভাগের সর্ববৃহৎ ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে। জামাতে ইমামতি করেন নগরীর টাউন জামে মসজিদের পেশ ইমাম খুলনা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা সালেহ আহমদ। এছাড়া বিভিন্ন ঈদগাহ, মাদ্রাসা ও কলেজ মাঠসহ নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিলেটে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা আব্দুল করিম বিন মোশাহিদ। সিলেটের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে। নামাজে ইমামতি করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আশজদ আহমদ।

বরিশালে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বরিশাল কেন্দ্রীয় হেমায়েতউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে।নামাজ শেষে দেশের সবস্তরের জনগণের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত আনুষ্ঠিত হয়।

তবে জেলায় বৃহত্তর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরগাহ শরীফে। এছাড়া নগরীর ছয়টি মসজিদে দু’টি করে এবং শতাধিক মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ