বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েঢাকা বিভাগটাঙ্গাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১, আহত ২

টাঙ্গাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১, আহত ২

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা দক্ষিণপাড়া গ্রামে সোমবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নূর ইসলাম ওরফে উলকা নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় সাগর ও শাহেদ নামের আরও দুজন গুরুতর আহত হন। ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, নূর ইসলাম টাঙ্গাইল সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নূরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি। শাহেদ ও সাগর তাঁর সহযোগী। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও ১১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহত সাগর ও শাহেদকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শাহেদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক দুলাল চন্দ্র পোদ্দার বলেন, শাহেদের পেটে, মাথায় ও চোখে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন আছে। সাগরের পায়ে আঘাত লেগেছে।

মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে টাকিয়া কদমা দক্ষিণপাড়ার আব্দুল মান্নানের বাড়িতে অভিযান চালালে নূর ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে নূর ইসলাম নিহত ও তাঁর দুই সহযোগী আহত হন।

তবে টাঙ্গাইলে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাউদ্দিনের ভাষ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডিবির একটি দল ভোরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর ইসলাম ও তাঁর সহযোগীরা গুলি ছোড়েন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে নূর ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নূর ইসলামের লাশ মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাতে শহরের পূর্ব আদালতপাড়ায় নূর ইসলামের বাড়িতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। এ সময় নূর ইসলাম টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই নূরুল ইসলামকে গুলি করে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন সকালে তিনি মারা যান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ