ষ্টাফ রিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে ১৬ ফেব্রুয়ারি তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মঙ্গলবার ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। দশম জাতীয় নির্বাচনের আগে হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এমপি আব্দুর রহমান বদির অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক।
দুদকের নিয়োগপ্রাপ্ত অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আহসান আলী অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত ২৭ জানুয়ারি কক্সবাজার যান।২৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের আয়কর নথি ও হলফনামা জব্দ করেন তিনি।
জানা গেছে, কক্সবাজারের বিতর্কিত এ এমপির বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মোট ৯০টি মামলার খোঁজ পেয়েছে দুদক। এগুলোর মধ্যে শিশু ও নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে ভয়ঙ্কর অপরাধের মামলাও রয়েছে।
ইসিতে বদির হলফনামার তথ্য অনুসারে, প্রথম এমপি হওয়ার পর পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি। তার এ সম্পদ অবৈধ কি-না তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
অভিযোগ রয়েছে, বদি গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামা অনুসারে এমপি বদির বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। তখন (২০০৮) বিভিন্ন ব্যাংকে আবদুর রহমানের মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
পাঁচ বছরের মাথায় এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৩৭ টাকা। তার হাতে ২০০৮ সালের নভেম্বরে নগদ টাকা ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৪৮ টাকা। আর এখন ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এখন স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৫ টাকা।
আয়কর বিবরণীতে তিনি দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ টাকা। আর নিট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে ২০০৮ সালের আয়কর বিবরণী অনুসারে, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮৮০ টাকা। আর নিট সম্পদ ছিল ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার।
