শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউপালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এবারের বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘তামাকের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ’। প্রতি বছর ৩১ মে পালিত হয় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ বছর দিবসটি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এবারের তামাক মুক্ত দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠান আগামী ১১ জুন অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলো দিবসটি উদযাপন করছে।
প্রগতির জন্যে জ্ঞান (প্রজ্ঞা) ও তামাক বিরোধী মিডিয়া জোট (আত্মা) শুক্রবার সকালে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে থেকে একটি ৠালি বের করে। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর তাইফুর রহমান ও আত্মার আহ্বায়ক রুহুল আমিন রুশদসহ আত্মার সদস্যরা ৠালিতে অংশ নেন। ৠালিটি জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে আমরা ধূমপান নিবারণ করি (আধুনিক)। এ অনুষ্ঠানে smokingপ্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান।

এদিকে গত বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার রোধে শিগগিরই বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবর রহমান ফকির। গত ২৯ এপ্রিল জাতীয় সংসদে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার(নিয়ন্ত্রণ)(সংশোধন) আইন ২০১৩’ পাস হয়।  প্রতিমন্ত্রী জানান, “আইন বাস্তবায়নে এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করার জন্য জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” আইনে তামাক কোম্পানির যে কোনো বিজ্ঞাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলেও তামাক ব্যবসায়ীরা আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে জনহিতকর কাজ করে জনগণের আনুকূল্য পেতে চান এবং সরকার ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রতিমন্ত্রী। তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মুজিবর রহমান ফকির। গ্লোবাল অ্যাডাল্ট ট্যোবাকো সার্ভের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ তামাক ব্যবহার করে এবং ৬৩ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ বছরের উর্ধ্বে ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় এবং তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ