বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন : তৃণমূলের মতামত কার কার পক্ষে?

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন : তৃণমূলের মতামত কার কার পক্ষে?

চট্টগ্রাম অফিসঃ (বিডিসময়২৪ডটকম)

চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তৃণমূলের মতামত কার পক্ষে তা নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল। বিষয়টি নিয়ে একেকজন একেক প্রার্থীর কথা বললেও প্রকৃত সত্য কারও জানা নেই। কারণ তৃণমূলের নেতারা এলাকার সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষে মতামত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। লিখিতভাবে তাদের মতামত আলাদাভাবে জানানোর কারণে বিষয়টি গোপনীয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি   বলেন, ‘কে কোন মনোনয়ন প্রত্যাশীর পক্ষে মতামত দিয়েছেন তা কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কারণ মতামত দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাও আবার লিখিত আকারে গোপনে। এ নিয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করে থাকলে তা আজগুবি ছাড়া কিছুই নয়।’তবে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, আমাদের কাছে যে তিন জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তাদের ব্যাপারে বিশেষভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের যোগ্যতা, এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তা, এলাকার মানুষের সঙ্গে তার যোগাযোগ কেমন, আগে কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন কি না, নিয়ে থাকলে তার বিবরণসহ নানা বিষয়ে বিস্তারিত লিখতে হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আমার বক্তব্যে বলেছি একজনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পর অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে পরস্পরকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য। এতে প্রার্থীদের মধ্যে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব আর থাকবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্ন পত্র হাতে নিয়ে একেকজন আলাদা আলাদা জায়গায় গিয়ে তা পূরণ করেছেন। সুতরাং তৃণমূলের মতামতে কোন প্রার্থী এগিয়ে আছেন তা বোঝার কোনো অবকাশ নেই। এমনকি কার কার নাম প্রস্তাব করা হযেছে তাও জানার সুযোগ নেই। কারণ প্রশ্নপত্রগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন নিজেদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা মিটিয়ে নিতে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শক্তিশালী কমিটি গঠনের জন্যও বলা হয়েছে নেতাদেরকে। যেসব ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রের অবস্থান সেখানকার কমিটি গঠনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে তিন মাসের মধ্যে।

এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, আমি চন্দনাইশ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছি। কিন্তু নেত্রী কি সিদ্ধান্ত নেন সেটা তার ব্যাপার। আমরা তাকে আশ্বস্ত করেছি মনোনয়ন যাকেই দেয়া হোক তার পক্ষে কাজ করার।
তৃণমূলের মতামতের মধ্যে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে তা কি অনুমান করা গেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্যাপারটি অনুমান করার কোনো সুযোগ নেই। উপস্থিতি নেতারা লিখিতভাবে এ মতামত দিয়েছেন। তৃণমূলের মতামত কার পক্ষে তা গোপনীয় বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জানা গেছে, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম মনোনয়ন চেয়েছেন হাটহাজারী আসন থেকে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন চেয়েছেন বোয়ালখালী আসনে। সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মনোনয়ন চেয়েছেন চন্দনাইশ আসন থেকে। তবে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী কোনো আসন থেকে মনোনয়ন চাননি। বিষয়টি তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ