বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবিশ্বখ্যাত ‘সেগাফ্রেডো জেনেতি এসপ্রেসো’ কফিশপ এবার চট্টগ্রামে

বিশ্বখ্যাত ‘সেগাফ্রেডো জেনেতি এসপ্রেসো’ কফিশপ এবার চট্টগ্রামে

Segafredo copyকফি হাউজের প্রতি সুস্থ চিন্তাশীল মানুষদের আকর্ষণ কখনও কমেনি। তবে আড্ডা দেওয়ার মত কফিশপের অভাবটা ছিল সবসময়ের। অতিমাত্রায় ব্যবসায়িক চিন্তা আর কর্পোরেট ভাবনার অজুহাতে বারবার হতাশ হতে হয়েছে কফির চুমুকে। সুস্থ-সুন্দর সকল চিন্তাশীল নগরবাসীর জন্য সুখবর নিয়ে নগরীতে যাত্রা শুরু করছে ‘সেগাফ্রেডো জেনেতি এসপ্রেসো’ কফিশপ। নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ১ নাম্বার রোডের বিপরীতে ইনোভেটিভ ভুঁইয়া অর্কিডের নিচতলায় এ কফিশপ উদ্বোধন করা হয়েছে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন রবিবার বেলা ১১টায় ফিতা কেটে কফিশপটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, আমি খবর নিয়েছি এ কফি জেনুইন। অনেকে ব্রান্ড নাম নিয়ে আসে, কিন্তু কোয়ালিটি নিশ্চিত করে না। কিন্তু সেগাফ্রেডোর কফিশপে কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হবে বলে আশা করছি।

১৯৮৮ সালে ইতালিয়ান নাগরিক মাশিমো জেনেতি শুরু করেছিলেন ‘এসপ্রেসো ক্যাফে’। সেখান থেকে জনপ্রিয়তায় ভর করে একেক করে ৩৮টি দেশে ছড়িয়েছে এ ব্রান্ড। এবার বাংলাদেশের একমাত্র শাখা হিসেবে যাত্রা করছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। এই কফি আমদানি করছেন এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দীন সৈকত। সুদূর ইতালি থেকে আগত বিশেষ টিম কফিশপের সবকিছু ইনস্টল করেছেন।

গতানুগতিক ধারণা থেকে বেরিয়ে বিশ্বখ্যাত জনপ্রিয় কফি ব্রান্ডটির যাত্রা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দীন সৈকত। তিনি জানান, আমি কফির চুমুকে সে নস্টালজিয়া আড্ডাটি আবার জাগিয়ে তুলতে চাই। ঠিক সেভাবে সাজিয়েছি প্রিয় কফিশপটি। জীবনের সাতটি বছর কাটিয়েছি অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে দেখেছি মানুষ কফিশপে বসে তাদের পথচলার অবসর সময়গুলো সুন্দর করে পার করে। তেমন কোনো পরিবেশ আমাদের দেশে পাইনি। সে অভাববোধ থেকে এ কফিশপের যাত্রা।

তাছাড়া সেগাফ্রেডো কফি পৃথিবীর সেরা কয়েকটির মধ্যে অন্যতম। কফির যেমন কোয়ালিটি শতভাগ নিশ্চিত করা হবে, তেমনি পরিবেশটাও হবে কফির সাথে মিতালি করে। যে কেউ কফির চুমুকে তাঁর ব্যস্ত জীবনের খানিক আড্ডা কফিশপে করতে পারবেন। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আড্ডা দিতেই এ কফিশপ। আশা করছি নতুন স্বাদের সেগাফ্রেডো জেনেতি এসপ্রেসো তাদের সেই আস্থা যোগাতে সক্ষম হবে।

৪৮ জনের বসার ব্যবস্থা সম্বলিত এ কফিশপে থাকছে ৭ ক্যাটাগরির ৬০ ধরনের কফি, ৫০ রকমের বেভারেজ, ৩০ থেকে ৩৫ রকমের ফাস্টফুড, ৪ প্রকারের চা ছাড়াও থাকবে সি-ফিশের স্পেশাল রেসিপির খাবার। পরিবেশটাও বেশ দারুণ। তবে দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা এড়াতে রাইসুল উদ্দীন সৈকত জানিয়েছেন, কফির দাম ১৬০ টাকা থেকে ৫শ টাকার উর্ধ্বে হবে না।

কফিশপটি সাজানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সেগাফ্রেডোর কফিশপের আদলে। এমনকি কফিশপে ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিস আমদানি করা হয়েছে ইতালি থেকে। শপটির প্রবেশদ্বারেই রয়েছে কাউন্টার বার। সেখানে থাকছে দুটো এলইডি স্ক্রিন, যেখানে খাবারের সব তালিকা আলাদা করে প্রদর্শিত হবে। এরপাশে রয়েছে উন্মুক্ত হাওয়ায় নিজেকে হারানোর সুযোগ। পাশে অনেকটা বেলকনির মত করে আরেকটি কক্ষ করা হয়েছে। যেখানে বসে যে কেউ চাইলে খোলা হাওয়ায় কফির স্বাদে নিজেকে হারাতে পারবেন মুক্ত চিন্তার সাগরে।

এসময় এলবিয়ন গ্রুপের উপদেষ্টা মো. নিজাম উদ্দীন, নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির হাইজি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, সহ সভাপতি মো. ইদ্রিস, জুনিয়র চেম্বার চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, র্যাংকস প্রোপার্টিজের সিইও তানভির শাহরিয়ার রিমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তির।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ