শুক্রবার, মে ৩১, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েউখিয়ার দলীয় ও প্রশাসনিক সব পদ একঘরেই, দলে চরম অসন্তোষ

উখিয়ার দলীয় ও প্রশাসনিক সব পদ একঘরেই, দলে চরম অসন্তোষ

উখিয়া উপজেলায় একঘরে দলীয় ও প্রশাসনিক সব পদ দখলের কারণে দলের ভেতরে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সর্বশেষ আসন্ন  উপজেলা চেয়ারম্যন নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিলে নিজেদের ঘরে রেখে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ক্ষোভ সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবিও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ নেতাকর্মীরা।

উখিয়া উপজেলার সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। তাদের পরিবারের দখলে রয়েছে সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান পদটিও। এতো পদ-পদবী  থাকার পরও উপজেলা চেয়ারম্যান পদটিও নিজ পরিবারের বাইরে ছাড়তে নারাজ পরিবারটি। তাই  উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী সর্বোচ্চ কৌশল অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করেছে দলের নেতা কর্মীরা। এতে করে সাধারণ ভোটার ও দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, উখিয়া-টেকনাফের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আকতার, তাঁর চাচা উখিয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী, তাঁর ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বড় ভাই হুমায়ুন কবির চৌধুরী জেলা পরিষদের সদস্য, আরেক ছোট ভাই সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সংসদ শাহিনের আপন চাচি। এতো পদ ও ক্ষমতা থাকার পর ওই পরিবারে উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চাওয়াটা লজ্জাহীনতার পরিচয়। একটি পরিবার সব ক্ষমতা ভোগ করলে অন্যদের রাজনীতি করার কি দরকার?

উখিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন, উখিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে আপন চাচা ভাতিজা। ক্ষমতা যাতে অন্য কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেই জন্য গত ৪ বছরেও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করেনি।

তিনি অভিযোগ করেন চাচা-ভাতিজা মিলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা নিজের ঘরে রাখতে বর্ধিত সভায় ৬ জন প্রার্থীর বিরোধিতার পরও ভোটাভোটি করা হয়। এতে তৃণমূলের ভোটারদের সভাপতি নিজের পক্ষে এবং সাধারণ সম্পাদক নিজের ভাই হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে ভোট দিতে বাধ্য করে।

মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি না থাকার সুযোগে উপজেলা সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক নিজেদের আজ্ঞাবহ লোক। নিজের ড্রাইভার, ম্যানেজারকে উপজেলার ভোটার বানিয়ে ভোটাভোটি করিয়ে নিজেদের জয়ী করে প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। বিষয়টি কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগকে অবহিত করা হবে।

এই বিষয়ে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেছেন, কাউন্সিলের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে তারা চাচা-ভাতিজা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তেমনিভাবে তৃণমূলের ভোটে তার চাচা উপজেলা সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরীকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল প্রার্থী নির্বাচন করেছে। এইখানে পরিবার তন্ত্রের কিছু নাই। তৃণমূলের ভোটেই তারা নিজ নিজ পদে বসেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ