রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়রেলের সিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে যুক্ত হচ্ছে ১১ ইঞ্জিন

রেলের সিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে যুক্ত হচ্ছে ১১ ইঞ্জিন

ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)

লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সঙ্কটের কারণে বারবার রেলের সিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে রেলওয়ের বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন ১১টি ইঞ্জিন। প্রথম চালানে চারটি ইঞ্জিন কোরিয়া থেকে আজ রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। নতুন ইঞ্জিন এলে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সিডিউল বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইঞ্জিন সঙ্কটের কারণে আজ রোববার সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ঢাকা ও সিলেটগামী দুটি আন্তঃনগর ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা অভিমুখী চট্টলা এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১১টায় গন্তব্যের উদ্দেশে চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে। আর সিলেট অভিমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা পর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্টেশন ছাড়ে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা জাকির হোসেন।
ট্রেনের এই সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে স্টেশনে দীর্ঘ সময় আটকে পড়ায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তাফাজ্জল হোসেন  বলেন, ‘জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে কেনা ইঞ্জিনগুলো রেলের বহরে যুক্ত হলে রেলের সিডিউল বিপর্যয় কমবে। চারটি ইঞ্জিনের প্রথম চালানটি কোরিয়া থেকে ছেড়ে আসা জাহাজে করে আজ রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছার কথা।’
বাকি সাতটি ইঞ্জিনও এ মাসের মধ্যে রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে বলে জানান তিনি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, নতুন ১১ ইঞ্জিন রেলের বহরে যুক্ত হলে রেলওয়েতে ইঞ্জিন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৬৩টি। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে দুটি মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনসহ সারাদেশে (পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে) আন্তঃনগর, মেইল, লোকাল ও মালবাহী ৩২৬টি ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু চলাচলের উপযোগী ইঞ্জিন রয়েছে মাত্র ১৭৬টি। এ কারণে কোনোভাবে জোড়াতালি দিয়ে ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখার চেষ্টা করছে রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পুরাতন মডেলের ইঞ্জিন হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখা যায় না। এসব ইঞ্জিন প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। পুরাতন ইঞ্জিন দিয়ে মূলত লোকাল ও মালবাহী ট্রেন চলাচলের কারণে অনেক ক্ষেত্রে আবার তা নানা দুর্ঘটনারও কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
চলতি বছর ও গত বছর যাত্রী ও মালবাহী কয়েকটি ট্রেনের দুর্ঘটনার কারণে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ