মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ৩০ জন কর্মকর্তার নামসহ একাধিক তালিকা পাওয়া গেছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে। এ তালিকা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদিক জানিয়েছিলেন, সরকারি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হতে পারেন না। খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাতে এভাবে দেখা করা আইন পরিপন্থি। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে প্রশাসনের সাবেক ও বর্তমান বেশ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেন ৩০ জনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাধিক তালিকা সংগ্রহ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওইসব তালিকায় যাদের নাম রয়েছে মন্ত্রণালয় তা যাচাই-বাছাই করছে। শনাক্ত করার কাজ শেষ হলে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বৈঠকে প্রশাসন ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের অপর এক কর্মকর্তা জানান, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়াদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চাকরিবিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে কোনো মন্ত্রণালয়কে এখনও আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়নি। হয়তো ফোনে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে।