আইসিসির নির্দেশনা অনুয়ায়ী দ্রুত নির্বাচন না দিলে বাংলাদেশ আইসিসির সদস্যপদ হারাতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। তাই সদস্যপদ রক্ষায় খুব দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে বিসিবিকে।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, ক্রিকেট বোর্ডের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি সভাপতিকেও নির্বাচিত হতে হবে। এর আগে বিসিবির গঠনতন্ত্রে নির্বাচিত সভাপতির কোনো ধারা সন্নিবেশিত ছিল না। সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তিই ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে বসতেন।
আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত সভাপতির ব্যাপারটি নিশ্চিত করতেই গঠনতন্ত্র সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে নির্বাচন আয়োজন অনিশ্চিত হয়ে যাওয়াতেই মূলত সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, হাইকোর্ট যদি সংশোধিত গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে আগের গঠনতন্ত্র (২০০৮) বহাল রাখে, সে ক্ষেত্রে আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী বিসিবি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না, ফলে আইসিসিতে বাংলাদেশের সদস্যপদই হুমকির মুখে পড়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ব্যাপারে যত দিন হাইকোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত না দেবেন, ততদিন নির্বাচন আয়োজনেও দেরি হতে থাকবে।’
আইসিসি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বারবারই তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন নাজমুল হাসান। কিন্তু হাইকোর্টের স্থগিতাদেশটিই এ ব্যাপারে সমস্যার মধ্যে রেখেছে বিসিবিকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র সংশোধিত হয়েছিল ২০১২ সালে। উদ্দেশ্য ছিল, সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু সেই সংশোধিত গঠনতন্ত্র জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে অনুমোদিত হয়ে আসতে আসতেই শেষ হয়ে যায় আগের নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ। নতুন নির্বাচনের আগে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হলেও এ বছরের শুরুতে সংশোধিত গঠনতন্ত্রের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ নির্বাচনকে করে তুলেছে অনিশ্চিত। সেই থেকে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।