বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়বিপিএল বিপাকে বিসিবি!

বিপিএল বিপাকে বিসিবি!

bcb-bplটাকা চেয়ে দিনের পর দিন চিঠি লিখেও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে সাড়া পায়নি। গেম অন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট- তারাও দূরে দূরে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কেউ-ই কথা রাখেনি। সকল প্রচেষ্টা বিফল হওয়ায় এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে বিসিবির সমানে- মামলা করা। সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং গেম অনের বিরুদ্ধে যে কোনো দিন মামলা ঠুকে দিতেও পারে বোর্ড।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা শনিবার বাংলানিউজকে জানান, চলতি সপ্তাহে শেষ দেখবেন তারা। এসময়ের মধ্যে সমাধান না এলে, কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকে আদালতের শরণাপন্ন হবে বিসিবি।
দ্বিতীয় বিপিএলে গেম অনের কাছে ১৯ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। এখন পর্যন্ত তার একটি টাকাও তুলতে পারেনি। সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য ব্যাংক গ্যারান্টিও নগদ করেনি দুবার। গেম অন কর্মকর্তারা বোর্ডের এই উদারতাকে দুর্বলতা মনে করে কোনোরকম সহযোগিতা করছে না। বিসিবিকে সর্বশেষ ১৪ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গেম অন। সময় নিয়েছিল ১৫ জুন পর্যন্ত। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি পায়নি বিসিবি। আফজালুর রহমান সিনহা জানান, রোববার এনিয়ে বৈঠকে বসবেন তারা।
সিনহা জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের টাকা পরিশোধের শেষ সময় দেওয়া আছে ১৭ জুন পর্যন্ত। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এখনও দুই দিন সময় পাচ্ছে সমুদয় বকেয়া পরিশোধের। বিসিবিকেও দিতে হবে বার্ষিক ফি’র ২১ কোটি টাকা। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে এনিয়ে কোনো ভাবাবেগ নেই। বিসিবির হুমকিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বিচলিতও নন। খবর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
দুরন্ত রাজশাহীর চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান মোহন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন,‘আমি খেলোয়াড় সম্মানীর ৫০ ভাগ দিয়ে রেখেছি। এরপরও যদি বিসিবি আইনি প্রক্রিয়ায় যায়, তাহলে যা হওয়ার তাই হবে। একপক্ষ আইনে গেলে অপর পক্ষ তো আর বসে থাকবে না। তবে বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের সম্মানীর দ্বিতীয় কিস্তি দেয়নি। এটা সত্যিই আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার।’
এ ব্যাপারে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান কঠোর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন,‘অনেক সময় দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককে। রোববার মিটিং আছে আমাদের, আলোচনা করে দেখি সবাই কী সিদ্ধান্ত দেয়। আর পাঁচটা দিন আমাকে সময় দেন, এর ভেতরে সমাধান না হলে মামলা করবো।’
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কর্মকর্তারা এরকম কথা বহুবার শুনিয়েছেন, কিন্তু আদতে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতিবারই নতুন করে সময় বাড়িয়ে গেম অন এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিসিবি কর্মকর্তাদের এই নাটুকে সিদ্ধান্ত যে পরবর্তী বিপিএল পর্যন্ত চলবে তা বুঝতে কারও বাকি নেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ