নারী যৌনাঙ্গ কর্তন বা মেয়েদের খৎনা প্রথা ব্রিটেনের অভিবাসীদের মধ্যে এখনও চালু রয়েছে। ১৯৮৫ সাল থেকে এই প্রথা ব্রিটেনে নিষিদ্ধ।
কিন্তু আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার কিছু দেশে মেয়েদের খৎনা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রীতি হিসেবে চলে আসছে। তাই ওই সব দেশ থেকে আসা ব্রিটিশ অভিবাসীদের মধ্যে বংশ পরম্পরায় এই প্রথা চালু রয়েছে।
এ অবস্থায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যরা বলছেন, মেয়েদের খৎনার বিষয়টি যুক্তরাজ্যে যথাযথভাবে সামাল দেয়া যাচ্ছে না। পুলিশ ও সমাজ কর্মীরা স্পর্শকাতর এ বিষয়টি মোকাবেলা করতে ভয় পাচ্ছে।
মন্ত্রীরা এই প্রথা বন্ধে বিদেশে সাড়ে ৩কোটি পাউন্ড ব্যয় করছেন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কমিটি বলেছে, নিজের দেশে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব না হওয়ায় বিদেশে এ সংক্রান্ত সহায়তা তেমন কাজে আসছে না।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে এই বিতর্কিত প্রথা দূর করতে নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। মেয়েদের এই নিবর্তনের অবসান ঘটাতে হবে। ব্রিটেনের মাটিতে মেয়েদের খৎনা বেআইনী। পরে বিদেশে অবস্থানকারী ব্রিটিশ নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্যও মেয়েদের খৎনা নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু সরকারী হিসেব অনুযায়ীই প্রায় ২০ হাজার বালিকা ব্রিটেনে খৎনার ঝুঁকিতে রয়েছে। যারা মেয়েদের খৎনা করিয়েছে তাদেরকে এ পর্যন্ত কোন শাস্তি পেতে হয়নি। সাধারণত ৪ থেকে ১৩ বছর বয়সে ব্রিটিশ মেয়েদের খৎনা করা হয়। এই মেয়েরা পরবর্তীতে মাসিকের সময় এবং সন্তান প্রসবকালে জটিলতার সম্মুখীন হয়।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী জাস্টিন গ্রিনিং বলেছেন, মেয়েদের বিরুদ্ধে এই ভয়াবহ অপরাধ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া অব্যাহত রাখব। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, মেয়েদের যৌনাঙ্গ কর্তনের কোন যৌক্তিতা নেই। এটা শিশু নির্যাতন এবং এটা বেআইনী। সূত্র:বিবিসি।