সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে তেহরান। যেগুলো ইসরায়েলে আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

রোববার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক ড্রোন ছুড়তে থাকে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) সেনারা। এসব ড্রোন ইসরায়েলে পৌঁছাতে এগুলোর প্রায় ৯ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী শতাধিক ড্রোন শনাক্ত করেছে। যেগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। ড্রোনের পর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবে এমন সম্ভাবনা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমানবাহিনী। এসব ড্রোন ইসরায়েলের সীমানার ভেতরে আসার আগেই ভূপাতিত করার চেষ্টা করা হবে।

ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি। তিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ছুড়েছে ইরান। এগুলো ইসরায়েলের দিকে ছুটে আসছে। বিমান বাহিনী ড্রোনগুলোর ওপর নজর রাখছে। যেগুলো আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।

এদিকে ইরান থেকে ড্রোনগুলো ইসরায়েলের দিকে আসলেও এখন পর্যন্ত সেখানে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠেনি। যদি ড্রোনগুলো ইসরায়েলের ভেতর প্রবেশ করতে সক্ষম হয় তখন সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হবে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে ড্রোন ছোড়ার বিষয়টি শনাক্ত করে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তারা এ ব্যাপারে ইসরায়েলকে অবহিত করে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সে দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হয়। সেই হামলার পর থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও আইআরজিসি প্রধানসহ শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকেরা একাধিকবার ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।

ইরান-ইসরাইল দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যদি তেল আবিবের পক্ষ নেয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে তেহরান। একাধিক আরব দেশের মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে এই বার্তা দিয়েছে তেহরান।

সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান।

এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরাইলে হামলা হলে তেল আবিবের পাশে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন। এরপর ইরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন কড়া বার্তা দেওয়া হলো।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহেই ইরান আরব দেশগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যকার দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র যোগ দিলে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাবে তেহরান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ