বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......কারাগারে যেমন আছেন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামি

কারাগারে যেমন আছেন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামি

আদালত প্রতিবেদক (বিডিসময়২৪ডটকম)

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ১২ কয়েদি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলেই আছেন। এঁদের কাউকে গতকাল পর্যন্ত অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়নি। ৪ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে মতিউর রহমান নিজামীর মামলার তারিখ ধার্য আছে। এর আগেই তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেয়া হবে। নিয়মানুযায়ী দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে আসামিদের ডিভিশন (শ্রেণিপ্রাপ্ত আসামি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ছগির মিয়া বলেন, আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে কারাবিধি মতে ডিভিশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। কয়েদির ডিভিশন থাকার কোন সুযোগ নেই। রায় ঘোষিত হওয়ার পর আসামিদের মনমানসিকতা সচরাচর বিমর্ষ থাকে তাই চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আপাতত অন্য কারাগারে স্থানান্তর করা হয়নি আসামিদের।  গত বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলার রায়ের পর ১২ আসামিদের ডিভিশনপ্রাপ্ত হাজত থেকে কনডেম সেলে স্থানান্তর করা হয়। আসামিরা হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, ডিজিএফআই’র সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এএনএসআই’র সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন, তৎকালীন উপ-পরিচালক মেজর (অব.) এম. লিয়াকত হোসেন, এনএসআই’র সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসীন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক, চোরাচালানি হাফিজুর রহমান, ট্রলার মালিক দ্বীন মোহাম্মদ ও হাজি আবদুস সোবহান ওরফে সোবহান হাজি।প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার চোরাচালান মামলায় চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এসএম মজিবুর রহমান ১৪ আসামির মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। অপর দুই আসামি সাবেক শিল্প সচিব নুরুল আমিন ও উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া পলাতক রয়েছেন।কয়েদির সাধারণ খাবার খাচ্ছেন ১২ আসামি : কারাগারে থাকা ১২ আসামির মধ্যে তিনজন বাদে সকলেই ডিভিশনপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু দন্ডাদেশের পর এঁদের ডিভিশন বাতিল হয়ে গেছে। তাই তারা সকলেই পৃথক কনডেম সেলে সাধারণ কয়েদির মতো জীবন যাপন করছেন। সাধারণ কয়েদির মতোই খাবার খাচ্ছেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সকালে কয়েদিদের রুটি ও সবজি দেয়া হয়। দুপুরে ভাত, ডাল ও সবজি, আর রাতের খাবার মেন্যুতে ছিলো ভাত, মাছ ও সবজি।

কীভাবে সময় কাটছে : কয়েদিদের মধ্যে সকলেই ইবাদতে মশগুল বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারাসূত্র জানায়, বাবর, নিজামীসহ সব আসামি নিয়মিত নামাজ পড়ছেন। কয়েদির পৃথক সেলে থাকায় জামায়াতে নামাজ পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন না আসামিরা।

মানসিক অবস্থা : মৃত্যুদন্ডাদেশের পর আসামিদের বেশিরভাগ নিজ নিজ সেলে বিমর্ষ ও চিন্তিত দেখাচ্ছে আসামিদের। তবে, অন্য আসামিদের চেয়ে হাফিজকে একটু ফুরফুরে দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে। কারাসূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সচরাচর মানসিক অবস্থা কেমন জিজ্ঞাসা করতে চায় না সংশ্লিষ্টরা, কেননা মুখে যাই বলুক তাদের মানসিক অবস্থা একটু বিপর্যস্তই থাকে। মুখ দেখে এসব অনুমান করা যায়। কনডেম সেলের ১২ আসামির চেহারায়ও বিপর্যস্ত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারাসূত্র জানায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ