বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউআজ খালেদার সংবাদ সম্মেলন, আসছে অসহযোগ আন্দোলন

আজ খালেদার সংবাদ সম্মেলন, আসছে অসহযোগ আন্দোলন

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় সূ্ত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া আজ আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে অসহযোগ আন্দোলন ও গণকারফিউ।

এছাড়া ঢাকা ঘেরাও, হরতাল-অবরোধের কর্মসূচিও আসতে পারে। তবে অসহযোগ ও গণকারফিউ কর্মসূচি নিয়েই দলের মধ্যে বেশি আলোচনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া সরকারকে শেষ বারের মতো এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়ে দেশের জনগণের প্রতি অসহযোগ ও গণকারফিউ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে গণকারফিউ কর্মসূচিটি কি এ নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সবার মধ্যেই এক ধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বুঝতে পারছেন না আসলে গণকারফিউ কি। খোদ বিএনপি নেতাদেরও এবিষয়ে কোনো ধারণা নেই।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বিএনপি চেয়ারপারসন দেশের মানুষের কাছে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন। তিনি আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দিবেন। সরকারকে আল্টিমেটামও দিতে পারেন ১৮ দলীয় নেত্রী। তিনি বলেন, অসহযোগ ও গণকারফিউর মতো কর্মসূচিও ঘোষণা দিতে পারেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া বলেন, ‘অসহযোগ আন্দোলনের এক্সট্রিম পর্যায় হচ্ছে গণকারফিউ। সরকার কারফিউ জারি করলে যেমন ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। বিভিন্ন কাজে বিধি নিষেধ থাকে। তেমনি দেশের সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় ঘর থেকে বের হবে না। সরকারকে সব কাজে অসহযোগিতা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে দলের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে।’
গণকারফিউ কর্মসূচির ধারণাটি এদেশে নতুন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন আন্দোলনে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করা হলেও গণকারফিউ কর্মসূচি পালনের কোনো নজির পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ রাজনৈতিক, সুশীল মহলের সঙ্গে আলাপকালে এমনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদব বদিউল আলম মজুমদার  বলেন, গণকারফিউ কর্মসূচি তিনি আর শুনেননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এধরনের কর্মসূচি কেউ পালন করেছে বলে তার জানা নেই।
দলীয় সূত্র জানায়, সংবাদ সম্মেলনে তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাবে। চলমান সঙ্কট ও একতরফা নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেবেন তিনি। এছাড়া চলমান সঙ্কট নিরসনে জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংলাপ কেন সংলাপ সফল হয়নি এবং কেন বিরোধী দল নির্বাচনে যাচ্ছে না সেটা ব্যাখ্যা করবেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি ভোটারদের প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করার ডাক দেবেন। বিশেষ করে প্রহসনের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার মাধ্যমে দেশের অর্ধেকের বেশি ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার কথা তুলে ধরে তিনি এ আহ্বান জানাবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে চলমান অবরোধ কর্মসূচি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। আজ শেষ হচ্ছে পঞ্চম দফা ৮৩ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি। কিন্তু অসহযোগ বা গণকারফিউর আগে ষষ্ঠ দফায় ফের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে। ৫ই জানুয়ারি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে আগামী ১লা জানুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে অসহযোগ বা গণকারফিউ। বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলের কয়েকজন নেতা এমন তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলেন, গণদাবি আদায়ে ১৮ দলের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। তিনি যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তা-ই জোটের নেতাকর্মীরা পালন করবে।
সূত্র আরও জানায়, এই দুই কর্মসূচির বাইরে বিকল্প হিসেবে ঢাকা ঘেরাও ও গণঅবস্থান কর্মসূচি-ও আসতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে সামগ্রিক বিবেচনার ওপর। এদিকে চলমান আন্দোলন জোরালো করতে নেতাদের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করছেন না খালেদা জিয়া। কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। পরিস্থিতির ভিত্তিতে তিনি সরাসরি রাজপথের আন্দোলনে অংশ নেবেন। তবে জোট নেতারা বলেছেন, এখনও সে সময় আসেনি।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ