দেশজুড়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। মাঝারি তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি এই অতিরিক্ত গরমের কারণ বলে জানিয়েছে, আবহাওয়া অফিস। আরো সপ্তাহ খানেকের বেশি এই দুঃসহ গরম সহ্য করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
গত মাসের বৃষ্টির শেষে এখন দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গরমের তীব্রতা। ঘরে বাইরে কোথাও এতটুকু স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের। পথ চলতে একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই আশ্রয় নেন রাস্তার পাশের ঠাণ্ডা পানীয়র। তীব্র গরমের মাত্রা আরও বাড়িয়ে এখন যোগ হয়েছে লোডশেডিং। মানুষের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে।
নগরবাসী জানান, এই তীব্র গরমে সারা দিন খাটুনির পর রাতের ঘুমও ঠিক মত হচ্ছে না। অতিরিক্ত গরমে খেটে খাওয়া অনেকে কাজ না করে ঘরে অবস্থান করেন বলে জানালেন। এমন গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন শিশু ও বৃদ্ধরা। তবে গরমের কারণে সৃষ্ট রোগ থেকে বাঁচতে বেশি পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই গরমে বেশিক্ষণ খোলা স্থানে বাইরে থাকলে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা থাকে। তাই যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তারা।
আবহাওয়া অফিস বলেছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের বাড়তি উপস্থিতি ও সূর্য কিরণ সরাসরি পড়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু অংশে এই দাবদাহ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানায় তারা। অন্তত সপ্তাহ খানেক গরমের এই তীব্রতা থাকবে জানিয়েছে, আবহাওয়া অফিস।