ফিক্সিং বিষে আক্রান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট। আকসু তদন্ত করছে এ দেশের ক্রিকেটারদের স্পট ফিক্সিং বিষয়ে; এমন খবর প্রকাশের পরই সাবেক ও বতর্মান অনেক ক্রিকেটার ও কর্মকর্তা ব্যাপারটিকে মনে করছেন, অর্থের প্রতি ক্রিকেটারদের মোহকে। বর্তমানে
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আয় অনেক বেশি। তারপরও, যারা কোটি সমর্থকের আবেগের এ খেলাকে কলঙ্কিত করেছেন, তাদের কঠোর শাস্তি চান সাবেকরা।
বাংলাদেশে ক্রিকেট জড়িয়ে গেছে স্পট ফিক্সিং কলঙ্কে। এখনকার ক্রিকেট মানেই বাণিজ্য আর অর্থের ছড়াছড়ি। যার প্রমাণ বিপিএলের মত ট্যুর্নামেন্ট। ক্রিকেটের ধুন্ধুমার এ আসর এখন বেশি আলোচিত মাঠের চার ছয়ের ক্রিকেটের জন্য নয়, মাঠের বাইরে হাজার হাজার ডলার লেনদেনের জন্য।
ক্রিকেটাররা মাঠে খেলেন জুয়াড়িদের পূর্ব ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী। এই অরাজকতা প্রতিহত করতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক আকরাম খান বলেন, টাকার বিনিময়ে খেলা কখনোই দেশ ও খেলোয়াড়ের জন্য ভালো হবে না। এ ফিক্সিং মহামারি শুধুমাত্র বিপিএল নয়, গণমাধ্যমে খবর আসে তা ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। ক্রিকেটাররা অর্থের বিনিময়ে, বিসর্জন দিচ্ছেন দেশপ্রেম। মূল্য দিচ্ছেন না কোটি সমর্থকের ভালবাসার। এই অপকর্মের কি শাস্তি হতে পারে এই প্রশ্নের জবাবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আফজালুর রহমান সিনহা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এরকম ঘটনা আরো বাড়বে। ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা কঠিন শাস্তির কথা বলছেন। কিন্তু, সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম ফিক্সিংয়ে উঠে আসায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইমেজ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। তা কিভাবে কাটিয়ে ওঠা যাবে তা নিয়ে সংশয়ে পুরো দেশ।