আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ব্যাখ্যা গ্রহণ করেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যে লিখিত হলফনামা আকারে ফখরুল স্বাক্ষরিত এ ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সিলেটে বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্য করায় মির্জা ফখরুলের কাছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাখ্যা চান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ। ফখরুলের জামিন বিষয়ক শুনানি চলাকালে তাকে বক্তব্যের বিষয়ে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে লিখিতভাবে এ ব্যাখ্যা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
সোমবার নির্ধারিত দিনে ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন তার পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গেলেও মঙ্গলবারের মধ্যে লিখিত হলফনামা আকারে ফখরুল স্বাক্ষরিত এ ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। একই দিন পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় তার জামিনের বিষয়ে আদেশের দিনও পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ০৭ ফেব্রুয়ারি সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, বিচার বিভাগেরও স্বাধীনতা নেই’। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ্ আপিলে গেলে আপিল বিভাগ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। এবং জামিনের মেয়াদ শেষে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাইকোর্টের রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন। হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর রুল নিষ্পত্তি করে ওই তিন মামলায় মির্জা ফখরুলকে তিনমাসের জামিন দেন।
ফখরুলের আইনজীবীদের দাবি, রুল নিষ্পত্তির মাধ্যমে সাধারণত মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন হয়। কিন্তু এখানে মাত্র তিনমাসের জামিন দেওয়া হয়েছে। এ কারণে হাইকোর্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মির্জা ফখরুল গত ০৭ জানুয়ারি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন।গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগ এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন রাখেন।