মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনভারী বর্ষণে পটিয়ায় ৫৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি

ভারী বর্ষণে পটিয়ায় ৫৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি

টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ রাস্তাসহ পৌরসভার ড্রেন ও সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ডুবে গেছে প্রায় তিন হাজার চাষের পুকুর। এতে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে পটিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ীদের। সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ৩০–৪০ টাকা করে বেড়ে গেছে।

পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল জানান, টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণে পটিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তাঘাট ও ড্রেন ভেঙে পৌরসভার প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে পৌরসভার মহাসড়কের পটিয়া পোস্ট অফিস এলাকা হাটু পানিতে ডুবে গেছে। পটিয়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বারান্দা পানিতে ডুবে গেছে। এতে নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন জানান, টানা ও ভারী বর্ষণে পটিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে তাদের সহায়তার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে চাল, বিস্কুট, খাওয়ার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ সোমবার থেকে তাদের মাঝে এ সব জিনিস সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলার কচুওয়াই এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী অমর কান্তি সর্দার জানান, আমার দিঘিসহ ছোট বড় প্রায় ৫০টি পুকুরের মধ্যে ২০টি ডুবে গেছে। এতে আমার বড় মাছের পুকুর ও পোনা মাছের পুকুরের মাছ সম্পূর্ণভাবে ভেসে গেছে। যার কারণে আমার ২০ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু আমার নয়, পটিয়ার হাজার হাজার পুকুর ডুবে মৎস্য চাষিদের অপূণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে বলেন, টানা ভারী বর্ষণে পটিয়ার মৎস্য চাষিদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার দিঘি, পুকুর ও জলাশয় ডুবে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্য চাষিদের। এতে বড় মাছের পুকুর যেমন রয়েছে তেমনি প্রচুর পরিমাণে পোনা মাছের পুকুরও রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ