রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......পুলিশ খুনের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ

পুলিশ খুনের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ

 চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ খুনের ঘটনায় মো. সোহেল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। সোহেল মতিঝর্ণা এলাকার জনৈক আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সে এলাকায় যুবলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আটকের পর সোহেল স্বীকার করেছে, তার হাতে চাপাতি ছিল এবং ওই চাপাতি দিয়েই সে পুলিশ সদস্যদের কুপিয়েছে। আমরা ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

গত রোববার সকাল ১১টার দিকে বাটালি পাহাড় এবং ডিআইজির বাংলোর পাহাড়ের (জিলিপি পাহাড় হিসেবে পরিচিত) মাঝামাঝি মোমবাতির পাহাড়ে অবস্থিত পিডব্লিউডি কলোনির মাঠে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় এক দল সন্ত্রাসী। এ সময় কনস্টেবল মো. আবদুল কাইয়ূম (২৬) নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন সালাহউদ্দিন (২৮), আরিফুল ইসলাম(২৫) ও সাহাবউদ্দিন(২৮) নামের তিন কনস্টেবল। শুরু থেকেই ঘটনার সঙ্গে যুবলীগ কর্মীদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে। পুলিশ ঘটনার তিনদিনের মাথায় মঙ্গলবার একজনকে আটক করতে সক্ষম হল।

সোমবার ইউসুফ ও জুয়েল নামে প্রত্যক্ষদর্শী দু’যুবক আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানায়, ঘটনার সময় তারা দু’জন ১৪-১৫ জনের একটি ছিনতাইকারী দলের কবলে পড়েছিলেন। এ সময় তারা চিৎকার দিলে তাদের বাঁচাতে এসে পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হন।

উল্লেখ্য পুলিশ খুনের ঘটনায় রোববার রাতে ডিআইজি’র বাসভবনের প্রধান নিরাপত্তারক্ষী আর্মড পুলিশের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) মো.আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি মামলা দায়ের করেন।

তবে ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নৃশংস এ ঘটনার নেপথ্য কারণ সম্পর্কে তিন ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। এক পক্ষ বলছে, ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে তারা হামলার শিকার হয়েছেন।

আরেকপক্ষের বক্তব্য, যুবলীগ কর্মীদের সঙ্গে হতাহত পুলিশ সদস্যদের সম্পর্ক ছিল। বাটালি পাহাড়ের পাশে মোমবাতির পাহাড়ে রেলওয়ে স্টাফ কলোনির একটি পরিত্যক্ত ঘরে যুবলীগ কর্মীরা এবং পুলিশ সদস্যরা প্রায়ই জুয়া খেলতেন। রোববার সকালে জুয়া খেলার এক পর্যায়ে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে খুন হন কনস্টেবল আব্দুল কাইয়ূম। এছাড়া অপর একটি পক্ষের দাবি, পুলিশ সদস্যরা জুয়া খেলতো না। তবে জুয়ার আসর থেকে টাকার ভাগ পেতো। এই টাকার ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছেন কাইয়ুম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ