শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সহায়তায় সার্কাসের নামে চলছে নগ্নতা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশের সহায়তায় সার্কাসের নামে চলছে নগ্নতা

sarkasকুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া এলাকায় পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সার্কাসের নামে চলছে অশ্লীলতা ও বেপরোয়া নগ্নতা।

 চলচ্চিত্র শিল্পীদের নাম প্রচার করে কিছু সুন্দরী নর্তকীদের দিয়ে রাতভর চলছে নগ্ন নাচ-গান আর অশ্লীলতা। তথাকথিত এসব চলচ্চিত্র শিল্পীরা মঞ্চে এসে অশ্লীল নাচের সাথে নগ্ন শরীর প্রদর্শন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখছে।

 সার্কাস প্রদর্শনীর সময় তারা দর্শকের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। আর সেখানে পুলিশও দর্শক হিসেবে থাকে। থানার পুলিশ সদস্যরা ভিআইপি দর্শক সারিতে বসে এসব নগ্নতা উপভোগ করছেন।

 অপরদিকে এ সার্কাসকে কেন্দ্র করে এর চারপাশ ঘিরে মেলা বসেছে। তবে মেলায় হাতে গোনা কয়েকটি স্টল বসলেও মূলত যতসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডই এখানে স্থান পেয়েছে। লটারি-বা র‌্যাফেল ড্র’র নামে প্রকাশ্যে বসছে জমজমাট জুয়ার আসর। এ জুয়ায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতবদল হচ্ছে। এতে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে।

 জানা গেছে, গত ২৫ মে থেকে ১৫ দিনব্যাপী সার্কাস আয়োজনের করা হচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা এবং রাত ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ‘স্বাধীন বাংলা চায়না সার্কাস’ নামের একটি সার্কাস দলের দুটি শো প্রদর্শিত হলেও যুবসমাজ ধ্বংসের মহা-আয়োজনটি শুরু হয় রাত ১২টায়।  এ আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে স্থানীয় পিপুলবাড়িয়া ক্যাম্প পুলিশ। ওই ক্যাম্পের টুআইসি নিজেই আয়োজক কমিটির প্রধানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। রীতিমতো পুলিশ প্রহরায় চলছে এ ধরনের অশ্লীল কর্মযজ্ঞ।

 এ ব্যাপারে আয়োজক কমিটির এক সদস্য বললেন, প্রশাসনসহ সবকিছু ম্যানেজ করেই এগুলো চালানো হচ্ছে। তাই পত্রিকায় লেখালেখি করেও এটা বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসন থেকে ১৫ দিনের অনুমতি নেয়া আছে। এর একদিন আগেও বন্ধ হবে না। প্রয়োজনে আরো সময় বাড়ানো হবে।

 দৌলতপুর থানার ওসি জাহির হোসেনের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনিও প্রায় একই সুরে বলেন, উপর থেকে পারমিশন নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ