জানা গেছে, প্রতিটি ব্যাংককে পাঠানো চিঠিতে অতি মুনাফার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি কোনো কোনো ব্যাংককে ঘোষিত দামের সঙ্গে প্রকৃত দামের মিল না থাকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত দাম ঘোষণা না করা, ঘোষিত দামে রপ্তানি ও আমদানিতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ না করায় ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
কয়েক মাস ধরেই ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। ইতিমধ্যে প্রতি ডলারের দাম ৮৬ থেকে বাড়িয়ে ৯৫ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমদানিতে ডলারের দাম ১০৫-১০৬ টাকায় উঠেছে। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। যা প্রকারান্তরে ভোক্তাদের ওপর গিয়ে পড়বে। কারণ, আমদানি খরচ বাড়লে পণ্যের দাম বাড়ে। তখন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়।
এদিকে ডলার বিক্রি করায় বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদিশক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩৯ বিলিয়ন তথা ৩ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমেছে। বুধবারও বিক্রি করা হয়েছে ৫ কোটি ডলার। এতে রিজার্ভ কমে হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলার। এদিকে ডলারের বাজারে করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা এ সভায় অংশ নেবেন। যৌথ এ সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল সভাপতিত্ব করবেন।