শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনসিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে ১০১ বিশিষ্ট জনের বিবৃতি

সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়ে ১০১ বিশিষ্ট জনের বিবৃতি

চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল স্থাপন না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বন্দর নগরীর ১০১ নাগরিক। তারা জানান, এই এলাকায় হাসপাতাল ভবন করা হলে তা পরিবেশ ও জৈববৈচিত্রে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। শনিবার তারা সংবাদমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন, চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ডা. মাহফুজুর রহমান এবং শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি।

বিবৃতিতে তারা জানান, সিআরবি এলাকা চট্টগ্রামের অক্সিজেন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। অনেক মানুষ প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এখানে হাঁটতে এবং নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নিতে আসেন। শতবর্ষী বৃক্ষ ঘেরা পাহাড়, টিলা ও উপত্যকা ঘেরা এলাকাটি জনসমাগমের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। অবিভক্ত ভারতের বেঙ্গল অ্যান্ড আসাম রেলওয়ের সদর দপ্তর সিআরবি ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৮৯৫ সালে। ফলে এলাকাটির ঐতিহ্যগত গুরুত্বও রয়েছে।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রাকৃতিক ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, বন, পাহাড় ধ্বংস করে বন্দরনগরীর ফুসফুস খ্যাত চিরসবুজ সিআরবিতে শুধু হাসপাতাল নয়, কোনো ধরনের স্থাপনা করা সমীচীন হবে না। প্রকৃতি ও পরিবেশবিনাশী সব কর্মকাণ্ডই হবে আত্মবিধ্বংসী। তাই প্রকল্পটি চট্টগ্রামের অন্য এলাকায় স্থানান্তরের আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা। তারা জানান, শহরের উপকণ্ঠে এমনকি রেলওয়ের অনেক জায়গা খালি পড়ে আছে এবং রেলওয়ের অনেক জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে, এইসব জায়গার যেকোনো একটিতে প্রস্তাবিত হাসপাতাল করা যেতে পারে বলেও মতামত দেন তারা।

বিবৃতিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন:
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফি, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম,  চুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ, দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি, দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশী বাদক ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা খোরশেদ আলম সুজন, সাংস্কৃতিক সংগঠক মফিজুর রহমান, একুশে পদকপ্রাপ্ত আহমেদ ইকবাল হায়দার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক বিশ্বজিত চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনজুরুল আলম, প্রাবন্ধিক অজয় দাশগুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক সিরু বাঙালি, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনূস, চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ, অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, নাট্যকার ও কবি শিশির দত্ত, নাট্যকার কবি ও গবেষক অভিক ওসমান, নাট্যজন ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী,  বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, কবি অধ্যাপক  ফাউজুল কবির, কবি ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, কবি ও সাংবাদিক এজাজ ইউসুফী, মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ, অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, চিত্রশিল্পী-গবেষক অধ্যাপক আবুল মনসুর, চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. কাজী এস. এম. খসরুল আলম কুদ্দুসী, অধ্যাপক ড. জিনোবোধী ভিক্ষু, চবির সহযোগী অধ্যাপক মাধব দীপ, শ্রমিক নেতা মৃণাল কান্তি চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, আবৃত্তি শিল্পী ও শিক্ষক নেতা অঞ্চল চৌধুরী, নাট্যকার ও নির্দেশক রবিউল আলম, স্থপতি আশিক ইমরান, অধ্যক্ষ হাসিনা জাকারিয়া বেলা, অধ্যাপিকা ফেরদৌস আরা আলীম, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ইদ্রীস আলী, শিক্ষাবিদ ড. আনোয়ারা আলম,  শিল্পী মিহির লালা, নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ম. সাইফুল আলম চৌধুরী, শিল্পী কল্পনা লালা, চিত্রশিল্পী দীপক দত্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, নাট্য ব্যক্তিত্ব সাইফুল আলম বাবু, আবদুল হালিম দোভাষ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রমার সভাপতি আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. সরফরাজ খান বাবুল, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, নাট্যকার রোসাঙ্গির বাচ্চু, ডা. মিনহাজুর রহমান, অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের, অধ্যাপক  ভবরঞ্জন বণিক,  নাট্যকার নির্দেশক মুনীর হেলাল, কবি ইউসুফ মুহম্মদ, সংস্কৃতি সংগঠক ডা. চন্দন দাশ, চলচ্চিত্র নির্মাতা আনোয়ার হোসেন পিন্টু, মুক্তিযুদ্ধ অ্যাকাডেমি ট্রাস্ট চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী, শরীফ চৌহান, অধ্যক্ষ কাবেরী সেনগুপ্ত, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, চলচ্চিত্র নির্মাতা শৈবাল চৌধুরী, সংস্কৃতি সংগঠক অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্তা, কবি রিজোয়ান মাহমুদ, উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী কমল সেনগুপ্ত, কবি আবসার হাবিব, কবি জ্যোতির্ময় নন্দী, এডভোকেট মুজিবুল হক, সাবেক সাংসদ নারী নেত্রী সাবিহা মুছা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব সাংবাদিক মহসীন কাজী, মানসী দাশ তালুকদার, নৃত্য শিল্পী ও প্রশিক্ষক প্রমা অবন্তী, শাহআলম নিপু, গবেষক জামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক সাংবাদিক ম. শামসুল হক, নাট্যকার ও কবি অধ্যাপক সঞ্জীব বড়ুয়া, নাট্যজন অভিজিৎ সেনগুপ্ত, রনজিত কুমার নাথ, নূরুল হক সিদ্দিকী, প্রদীপ কানুনগো, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ, মো. ওসমান গণি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ